লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ বার্তা ডেস্ক –
গত বছরের তুলনায় বিঘাপ্রতি ১ থেকে ২ মণ ধান কম উৎপাদন হয়েছে। তবে ফলন একটু কম হলেও আশানুরূপ দাম পেয়ে খুশি কৃষক। বর্তমানে এমন চিত্র বিরাজ করছে লালমনিরহাটের কৃষকদের মাঝে। এরই মধ্যে এখানে উঁচু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে শুরু হবে নিচু জমির ধান কাটা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এ বছর লালমনিরহাটে পাঁচ উপজেলায় আমন আবাদ হয়েছে ৮৫ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন ধান।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকার কৃষকরা জানান, গত বছর তিনি দুই বিঘা জমি থেকে আমন ধান পেয়েছিলেন ২১ মণ। কিন্তু এ বছর পেয়েছেন ১৯ মণ। গত বছরের তুলনায় ফলন কিছুটা কম হলেও আশানুরূপ দাম পেয়ে তারা খুশি। তবে নিচু জমিতে আমন ধানের ফলন আরো কম হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
আদিতমারী উপজেলার ভাদাই গ্রামের কৃষকরা জানান, উচুঁ জমির ধান কাটছেন কিন্তু নিচু জমির কাটতে আরো সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে। এ বছর অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে ফলনে কিছুটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তবে বাজারে প্রতিমণ ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরে খুব খুশি আছেন তারা।
একই উপজেলার দৈলজোড় গ্রামের কৃষকরা বলেন, এ বছর কীটনাশক ওষুধ কিনতে হয়েছে প্রচুর। প্রতিবিঘা জমিতে আমন ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। গত বছর এ খরচ ছিল পাঁচ হাজার টাকা পযর্ন্ত।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, নিচু জমির আমন ধানের ফলন কিছুটা কম হতে পারে। এখনো তারা ফলনের ঘাটতি পাননি। জেলায় এ পযর্ন্ত ২০ শতাংশ জমির আমন ধান কাটা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞগণ জানান, এবছর করোনা সংকট চলাকালীন সময়ে বন্যার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল কৃষকরা। তবে সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয় কৃষকরা। সংকটকালে সরকারের প্রদত্ত প্রণোদণা পেয়ে কৃষকরা আবার ফিরে দাড়ায়।
এদিকে, ধানের আশানুরূপ দাম পাওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান কৃষকরা।