নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে এবারও বহুল প্রতিক্ষীত তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারেনি ভারত। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে।
শনিবার (২২ জুন) দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে হাসিনা-মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর মোদি বেশ কয়েকটি ঘোষণা দেন। যার মধ্যে তিস্তা প্রসঙ্গও ছিল। তিস্তা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে।
এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস সেবা চালু, গেদে-দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে ডালগাঁও পর্যন্ত পণ্য ট্রেন সার্ভিস চালু, অনুদান সহায়তায় সিরাজগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো নির্মাণ, ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি, গঙ্গা পানি চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন, বাংলাদেশ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগে যোগ দেওয়া ও বাংলাদেশিদের জন্য মেডিকেল ই-ভিসা চালু করা হবে।
বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়ানোর জন্য উভয়পক্ষ সেপা (কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) নিয়ে আলোচনা করতে রাজি বলে জানান মোদি।
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে সংযোগ, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সমুদ্রসম্পদ, বাণিজ্য, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন অংশীদারত্বে মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়।
এদিন, দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ ও গ্রিন পার্টনারশিপ চুক্তি, ৩টি নবায়নসহ মোট ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার দিল্লিতে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা। ভারত নতুন সরকার গঠনের পর দেশটিতে এটি প্রথম কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল।
আজ সকালে ফোরকোর্টের রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় শেখ হাসিনা সশস্ত্র সালাম গ্রহণ ও গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন। সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইতোমধ্যে দিল্লি সফর শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবশেষ, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা দিল্লিতে শেষ দ্বিপক্ষীয় সফর করেন।