৫০ শয্যার হাসপাতাল, তিন তলা নতুন ভবন। সীমিত পরিসরে হলেও জিন-এক্সপার্ট, ডেল্টার সুবিধাও যোগ হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু করোনা মহামারির সময়েও চিকিৎসক সংকটে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে প্রয়োজনীয় অনেক সরঞ্জাম নাথাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লালমনিরহাট ২ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির নিজের উপজেলার মানুষ। উপজেলার প্রায় তিনলক্ষ মানুষ।
অযত্নে অবহেলায় দিন দিন বিকল হয়ে যাচ্ছে সরকারের মূল্যবান এই সম্পদটি।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জের উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। চাহিদা অনু্যায়ী হাসপাতালটিতে ২৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছে মাত্র ১৩ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে নেই সেল কাউন্টার মেসিন,নেবুলাইজার এমনকি প্রায় ১৬ বছর ধরে অচল এক্স-রে মেসিনও।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, নতুন ভবন ও কিছু সরঞ্জান যোগ হওয়ায় আগের চেয়ে বেশি সেবা পাচ্ছে রোগীরা তবে সকল সেবাদানের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নাথাকায় একটি সিজারের জন্যও এখানকার মানুষ জনকে লালমনিরহাট জেলা শহর বা রংপুরে যেতে হচ্ছে।।
তবে কালীগঞ্জ থেকে লালমনিরহাট জেলা শহর ও রংপুর প্রায় ৪০-৫০ কিলোমিটার। ফলে অনেক ঝুঁকি ও সময় খোয়াতে হয় রোগীদের। এতে দেশব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেলেও কালীগঞ্জ উপজেলার সংকটাপন্ন রোগীর জীবন রক্ষা নিয়ে বাড়ছে সংশয়।
হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখার তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবার মান উন্নীতকরণের জন্য তিনতলা নতুন ভবন নির্মাণ হয়।সম্প্রতি মেডিসিন ও অন্যান্য সুবিধা পেলেও শুরু থেকেই চিকিৎসক সংকটে রয়েছে হাসপাতালটিতে
সেবার মান বৃদ্ধি করতে ২৯ জন চিকিৎসক চেয়ে চাহিদা পত্র পাঠিয়েছিলো কর্তৃপক্ষ তবে এখনও নতুন করে কেউ যোগদান করেনি। রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবার চরম দুরবস্থার কথা স্বীকার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার রায় অজয় বলেন,
‘আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।’রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসক সংকটের কারণে অল্প সংখ্যাক চিকিৎসক নিয়ে দায়িত্ব পালন ও সেবা দিতে চিকিৎসকদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসক চেয়ে আমরা বারবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চাহিদা দিচ্ছি। তারা শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় কোনও রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট অথবা রংপুর পাঠাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।