ঢাকাMonday , 5 April 2021
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সবকিছুর ঊর্ধ্বে একজন প্রকৃত ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারাটাই জরুরি -রাকিবুজ্জামান আহমেদ

TITUL ISLAM
April 5, 2021 3:15 pm
Link Copied!

চণ্ডীদাসের ভাষায়-সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই

মানুষ হলো সমাজবদ্ধ জীব। ব্যক্তিমানুষের সব সার্থকতা সমাজকে কেন্দ্র করেই। সমাজে স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করেই মানুষের সম্পূর্ণতা। কিন্তু মানুষ দল বেঁধে বাস করলেই তা সমাজ হয় না।

প্রত্যেক মানুষ একে অপরের কল্যাণের কথা ভেবে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিয়ম ও শৃঙ্খলার অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাস করলে সেই জনগোষ্ঠীকে সমাজ বলে।

এই সমাজকে বাঁচিয়ে রাখা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিমানুষের অন্যতম দায়বদ্ধতা। এক সমাজে ধনী, গরিব, সহায়–সম্বলহীন নানা রকম মানুষের বাস।

সমাজ সংস্কারের মধ্যে রয়েছে আমাদের মনের শেকড়। সমাজকে না বদলালে সংস্কারকে আমরা কখনোই বদলাতে পারব না।

সমাজ না বদলালে মানুষও বদলাবে না। আমাদের নেতিবাচক চিন্তাও নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। আপনি কারো উপকার করতে না পারেন কিন্তু অপকার করার মনমানসিকতা থেকে বিরত থাকেন।

আমাদের সমাজে নিঃস্বার্থ উপকারী মানুষের অনেক অভাব। অন্যকে ঠকিয়ে আমরা আমাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজেদের বড় বানাবার চেষ্টায় আর অন্যকে ছোট করার প্রবণতায় দিনরাত ছুটে চলেছি।

সমাজের কিছু ভদ্রবেশী স্বার্থোন্মত্ত দুষ্ট চরিত্রের লোক নিজেদের দোষত্রুটি লুকাতে সব সময়ই পরনিন্দার পথ বেছে নেয়।

নিজেদের অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য একজন আরেকজনের সাথে দেখা হলেই একে অন্যের সামনে প্রশংসার পোল বাধে ঘুরে দাঁড়ালেই পিঠ পিছে তারই নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে হেয় করার চেষ্টা করে।

হুমায়ূন আজাদ বলেছিলেন-
আপনি যখন হেঁটে যাচ্ছেন তখন গাড়ি থেকে যদি কেউ খুব আন্তরিকভাবে মিষ্টি হেসে আপনার দিকে হাত নাড়ে, তখন তাকে বন্ধু মনে করবেন না।

মনে করবেন সে তার গাড়িটার দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আপনাকে কিছুটা পীড়ন করে সুখী হতে চায়।

আরেকজনের কাছে যেন ভালো সেজে থাকতে পারে তারা সেই প্রাণপণ চেষ্টা করে।

এসব মানুষ যেমন অন্যকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে নিজের আশপাশের ভালো মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তেমনি অন্যের ওপর মনগড়া মিথ্যা মতামত জোর করে চাপিয়ে দেওয়াই থাকে তাদের মূল লক্ষ্য।

অনেকেই এদের সহজে চিনতে পারে না, আবার কিছু মানুষ চিনতে পেরেও তাদের কথায় তাল মিলিয়ে চলে। আবার কিছু মানুষ সহজেই তাদের কথা বিশ্বাস করে প্রভাবিত হয়। এরা ভাইরাসের মতো ছড়ায় কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার মতো অন্যের ভেতরে ঢুকে ক্ষত সৃষ্টি করে।

সমাজে ভালো মানুষের অভাব নেই। আবার মন্দেরও অভাব নেই। অনেকে ভালো মানুষ সেজে, ভালো মানুষের ভান করে প্রতিনিয়তই আমরা আমাদের স্বাধীনতার সীমালংঘন করছি। পরকালের মহাবিজয়ের কথা ভাবছি না।

তাই তো সমাজে তৈলবাজ, স্বার্থপর, মিথ্যাবাদী, মুনাফেক, ব্যভিচারী, সুদখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, হিংষুক, লোভী, অহংকারী, ভন্ড আর জুলুমবাজের হাটবাজার।

তাই মুনীর চৌধুরী বলেছিলেন- মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।

পরিশুদ্ধ সুন্দর মনের সহ চিন্তা ও সহ কর্মের ভালো মানুষ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। ভালো মানুষ সত্যের উপাসক। যে নিজে ভালো কর্ম করে এবং অন্যদেরও ভালো কর্মে উদ্বুদ্ধ করে। ভালো মানুষ অন্যের ভালো দেখে আনন্দ পায়।

শান্তি পায়, অন্যের কষ্টে দুঃখ পায়। মন্দ কর্ম ও গোনাহ থেকে নিজে বাঁচে অন্যকে বাঁচাতে চেষ্টা করে এবং নিজেরাও ঐক্যদ্ধ হয়ে সমাজের জন্য কাজ করে।

রাসূল (সা.) ভালো মানুষের তিনটি সহজ সরল বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন। ১. ভালো মানুষকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কথা মনে হবে। ২. তার কথা শুনলে মনের দরজা খুলে যাবে এবং হেদায়েতের রাস্তা পাওয়া যাবে।

৩. তার আমলে বা কর্মের দিকে তাকালে আখেরাতের জিন্দেগীর কথা স্মরণ হয়ে যাবে। ভালো মানুষের সাথে বন্ধুত্বে জীবন বদলে যায়। আত্মার বিপ্লব ঘটে।

দেশি টক আম গাছে হাড়ি ভাঙ্গা আমের কলম দিয়ে টক ও আশঁ যুক্ত আমকে আশঁহীন মিষ্টি আমে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এতে এর স্বাদগুন সবই বদলে যায়।

তেমনই ভালো মানুষের মুহাব্বতে মন্দও ভালে হয়ে যায়। জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তাই মানুষ সৎ, যোগ্য ও মানবিকগুনাবলি সম্পন্ন কর্মঠ ভালো মানুষকে সমাজে দায়িত্ব দিলে কিংবা নেতা নির্বাচন করলে নিজেরা তার মাধ্যমে সুসংগঠিত হয়ে সমাজ দল ও দেশের কল্যাণে ভালো কাজ করতে পারবে এবং মহাবিজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

আমেরিকান লেখক অলিভার নেপােলিয়ন হিল বলেছেন- যদি খুব ভালো কিছু করতে না পারো, তবে ছোট ছোট কাজ খুব ভালো করে করো।

বাহিরে নবী (সা.) এর সুন্নাহ আর অন্তরে আল্লাহর ভয় বা তাকওয়া মানুষকে আমিত্বের ব্যধি থেকে রক্ষা করে। উন্নত চরিত্রের অধিকারী করে। তাই ভালো মানুষ হয় তওবাকারী, ইবাদতকারী।

আল্লাহর প্রশংসাকারী, সিয়াম পালনকারী, রুকু সিজদাকারী, সৎ কাজের নির্দেশ দাতা অসৎকাজের নিষেধকারী। (সূরা তওবা-১১২)

লাকাদ কানা লাকুম ফি রাসূলিল্লাহি উসওয়াতুন হাসানা। রাসূল (সা.) এর চরিত্রের মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য ভালো।

মানুষের জন্য উত্তম আদর্শের নমুনা। রাসূল (সা.) এর চরিত্র হলো জীবন্ত কুরআন। যা ভালো মানুষ হওয়ার গাইড লাইন। তার মহান চরিত্র ও সুন্নাহ চির আধুনিক এবং সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে। যেকোনো সমস্যার কার্যকর প্রতিষেধক।

মানুষের স্বাধীনতা সীমাহীন নয়। মানুষ নিজের ইচ্ছায় বা পছন্দ অনুযায়ী পৃথিবীতে আসেনি। যখন তার অস্থিত্ব ছিলো না। তখন যে ইচ্ছা অনুযায় অস্থিত্ব সৃষ্টি করতে পারেনি।

আবার মৃত্যুর সময়টাকেও মানুষ ইচ্ছানুযায়ী পিছিয়ে দিতে পারে না। আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন, তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছা ছাড়া কোনো ইচ্ছা করতে পারবে না। (সূরা তাকওয়া-২৯)

আল্লাহ পাক মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি, কর্ম শক্তি, চিন্তা শক্তি স্বাদ গ্রহণে স্বাধীনতাও দিয়েছেন। তবে সে স্বাধীনতা সীমাহীন নয়। সীমাবদ্ধ। ক্ষমতার প্রতিক্ষেত্রেই সদ্ব্যবহার করা ভালো মানুষের একান্ত দায়িত্ব।

তাই ভালো মানুষ কখনও স্বাধীনতার সীমা লঙ্ঘন করে না। মানুষ যখন ভালে হয় তখন সমাজও সুন্দর হয়। সমাজ সুন্দর হলে সুন্দর হয় রাষ্ট্র। সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সুন্দর রাখার দায়িত্ব আমার আপনার আমাদের সবার।

যুগে যুগে যত নবী রাসূল এসেছেন তাদের দাওয়াতী মিশন ছিলো দুটি। ১. ভালো মানুষ তৈরি করা। ২. ভালো মানুষদের সংগঠিত করা। শুধু ভালো মানুষ তৈরি করলেই হবে না, তাদের সংগঠিত শক্তিতে পরিণত করতে হবে।

তা না হলে পুরো পৃথিবী ভালো মানুষে ভরে গেলেও পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের ভালোর সুবাতাস বইবে না। ভালো ও সৎ মানুষের হাত শক্তিশালী করতে হলে আমাদের এক হতে হবে।

পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যদি তোমরা সৎ হতে চাও তাহলে তোমরা এক হয়ে আল্লাহর কুরআনকে আকড়ে ধরো। তোমরা বিভক্ত হলে সফলতা তোমাদের জন্য নয়।

সমাজকে কখনই খারাপ মানুষেরা ধ্বংস করতে পারে না। সমাজ ধ্বংস হয় ভালো মানুষের নীরবতায়। ভালো মানুষগুলোকে আজ সরব ও সুসংগঠিত হতে হবে।

পরিবার দল সংগঠন সমাজ ও রাষ্ট্রকে সৎ ও ভালো মানুষের হাতে দিতে হবে। সমাজ এবং দেশের জন্য সৎ ও যোগ্য কর্মঠ সমাজ প্রেমিক, দেশ প্রেমিক চরিত্রবান এবং আল্লাহ ভীরু ভালো নেতা নির্বাচন করতে হবে।

সত্যি বলতে ভালো মানুষের নীরবতায় আজ পরিবার সমাজ দেশ-বিদেশের সর্বত্র অস্বস্তি ও অশান্তি বিরাজ করছে। শোষণ /বঞ্চনা/ নিপীড়িত নির্যাতিত এবং অন্যায় করা হচ্ছে। নিদোর্ষ সৎ ভালো মানুষের উপর সত্য সুন্দর এবং আনন্দের পতাকা নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না ভালো মানুষেরা।

তা কিন্তু পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবীবাসীর জন্য সুখকর নয়। তাই নিজেরা ভালো মানুষ হয়ে নিরবে ইবাদত করার পাশাপাশি ভালো কর্মের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। যা দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবে।

দার্শনিক ঈশপ এর বিখ্যাত উক্তি- সৎ কর্ম যত ছোটই হোক, তা কখনও বৃথা যায় না।

অন্যায় জুলুম দুর্নীতি ও মন্দ কর্মের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে হবে। বক্তব্য প্রাণবন্ত লেখায় সুশিক্ষায় হেকমতে ও ভালো ব্যবহার দ্বারা ভালো এবং যোগ্য মানুষগুলোকে ঐবদ্ধ ও শক্তিশালী করা ঈমানী দায়িত্ব।

প্রতিটি মানুষের ভেতরে দুটু সত্ত্বা রয়েছে। একটি ফেরেশতা প্রকৃতি, অন্যটি পশু সত্ত্বা। ভালো মানুষ পশু সত্ত্বা মিটিয়ে ফেরেশতা বৃত্তি ফুটিয়ে তুলার জন্য নিরন্তর সাধনা করে। ইলমে ইলামীর জ্ঞার্নাজনের মাধ্যমে ঈমানী নূর পয়দা করে। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নেক আমলের সিঁড়ি বেয়ে পরমাত্মায় লীন হয়।

তখনই মানুষের মধ্যে প্রকাশ পায় পবিত্র সিফাত তথা দয়া মায়া, মানব প্রেম, মমত্ববোধ, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়নতারগুণ গুলো। পশুবৃত্তির দোষ হিংসা-বিদ্বেষ, ঈর্ষা, কাম, ক্রোধ, লোভ-মোহ, ইত্যাদি দূরীভূত হয়। এ থেকে যে আত্মশুদ্ধি লাভ করবে নিশ্চয় সে সফলকাম বা বিজয়ী বীর। (সূরা আলা-১৪)

মানুষকে সে দিন তার ভালো-মন্দ কর্মের তিল তিল করে হিসাব দিতে হবে। সে দিন হবে মানুষের জন্য মহাপরাজয় দিবস বা মহান বিজয় দিবস। ‘স্মরণ করো সে দিন তিনি (আল্লাহ) তোমাদিগকে সমবেত করবেন সমাবেশ দিবসে, সেদিন হবে লাভ-লোকসানের দিন।’ (সূরা তাগাবুন-৯)

নিশ্চয় তোমরা তোমাদের পূর্ণ প্রতিদান কিয়ামত দিবসেই পাবে। যাকে দোজখ থেকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। প্রকৃত পক্ষে সেই পূর্ণ সফলকাম বা মহাবিজয়ী। সূরা আল ইমরান-১৮৫

এ বিজয় ক্ষণিকের সীমাবদ্ধ বিজয় বা রাষ্ট্রীয় বিজয় নয়, জীবনের চূড়ান্ত মহা বিজয়, অনন্ত অন্তকালের বিজয়ী। এমন ভালো মানুষগুলো প্রেমভরা দরদি কণ্ঠে ইয়া আল্লাহ, ইয়া রহমান, ইয়া রাহিম বলে ডান দিলে আল্লাহ তাদের ডাকে সাড়া দেন। ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ (সূরা মুমিন ৬০)।

আমাদের কর্মে যদি খারাপ চিন্তা, খারাপ চর্চা বা মন্দের পরিমাণ বেশি হতে থাকে তখন বিবেক তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা হারাতে থাকে। দুর্নীতি, চুরি, অপরের ক্ষতি করা, মিথ্যা বলা এসবের জন্য শিক্ষা, দায়িত্ববোধ বা জ্ঞানের দোষ দিয়ে আমরা নিজেরা দানবের মতো আচরণ করতে শুরু করেছি। মানুষ কখন দানব হয়, তাকে দেখতে কেমন?

দেখতে যদি সত্যি ইচ্ছে করে তবে আয়নার সম্মুখে দাঁড়াতে হবে। কাঁচের আয়না নয়, মনের আয়নার সম্মুখে। মনের আয়নায় নিজেকে দেখতে হলে বিবেককে সামনে আনতে হবে। বিবেক যদি এখনও দানবের মত আচরণ না করে থাকে তবে তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বিবেক যখন তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা হারায় তখন ধ্বংস হয় মনুষ্যত্বের। তখনি সে দানব আকার ধারণ করে। সুশিক্ষা, আত্মবিশ্বাস, ভালোকর্ম, ভালো আচরণ এবং সর্বপরি মূল্যবোধের সমন্বয়ে বিবেক তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

প্রাচীনকালের সেই মহামানব সক্রেটিস বলেছেন ‌‌‘নো দ্যাসেলফ’ এই কথাটি জীবন চলার চাবিকাঠি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে কী বলতে চেয়েছিলেন সক্রেটিস তার এই কথাটিতে। কেন যেন মনে হচ্ছে একজন ভালো মানুষ হতে হলে প্রথমেই নিজেকে জানতে হবে। আর নিজেকে জানার চেষ্টা করলেই সত্য আমাদের ডাকে সাড়া দিবে।

ভালো-মন্দ নিয়েই মানুষ। ভালো-মন্দ সবার মাঝেই বিরাজমান। আমরা যদি কারো মাঝে ভালো কিছু পাই, তবে আমরা ওই ভালোটা তার কাছ থেকে অর্জন করি আর নিজের খারাপটা বর্জন করি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে একজন প্রকৃত ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারাটাই আমাদের জরুরি।

শেষ কথা আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ের ভাষায় বলি- মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে হয়তো ধ্বংস করা যায়, কিন্তু হারানো যায় না।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন ।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।