(লেখক রাহেবুল ইসলাম টিটুল )
প্রতিবার দূর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেন রেল কর্তৃপক্ষ ও প্রসাশনের কর্মকর্তারা। দূর্ঘটনা ঘটার পর তদন্ত কমিটি হয়। তদন্ত রিপোর্ট হয়।
রিপোর্টে থাকে বিভিন্ন সুপারিশ। সময়ের আবর্তে তদন্ত রির্পোট বরাবরের মতো চাপা পড়ে। আবারও নতুন কোন দূর্ঘটনা। তোড়জোড় শুরু করা হয় কয়েজনকে সাময়িক বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন।
কয়েক পৃষ্ঠার তদন্ত রির্পোট পেস। দোষীরা বহাল তবিয়তে চাকরী করে যায়। এটাই চলছে রেল প্রসাশনের কর্মকান্ড।
রেল প্রসাশন প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রায় প্রতিবছর ট্রেন দূর্ঘটনা কবলিত হয়। এতে একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন হচ্ছে অন্যদিকে প্রাণহানী ঘটছে সাধারণ জনগনের।
এদিকে তদন্ত রির্পোট ধামা চাপা পড়ে যাওয়ায় কোন সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না। ফলে একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
প্রাণ হানী ঘটছে মানুষের। এলাকার অনেকেই একাধিকবার তাদের নিজ নিজ এলাকায় রেল ক্রসিং স্থানে গেটম্যানের জন্য উরি মহলে লিখিত আবেদন করেও কোন উপকার আসেনি। বেড়েছে দূর্ঘটনা আর মানুষের মৃত্যু।
অরক্ষিত রেলক্রসিং, অপরিকল্পিত ও অননুমোদিত সংযোগ এবং সচেতনতার অভাবে অকাতরে প্রাণ যাচ্ছে। এটি উদ্বেগজনক। কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং, অপরিকল্পিত সংযোগ সড়ক এবং সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি রেলে দুর্ঘটনার পেছনে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর অব্যবস্থাপনাও দায়ী।
রেলওয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনা, সিগন্যাল লাইনে ত্রুটি এবং উন্নয়ন কাজ চলা অবস্থায় ট্রেন লুপ লাইন কিংবা সাইড লাইনে চলে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়
জেলা শহরের বাইরে বহু ব্যস্ততম রেল ক্রসিং রয়েছে। যার দু-একটি স্থানে গেটম্যান ও প্রতিবন্ধক রয়েছে। বেশির ভাগ ক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান ও প্রতিবন্ধক।
মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, গ্রাম্য সড়ক, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে রয়েছে এসব রেল ক্রসিং। ট্রেনের টাইম অনুযায়ী অনেক সময় রেল ক্রসিং এলাকায় থাকা সাধারণ জনগণ নিজ দ্বায়িত্বে গেটম্যানের কাজ করেন। কিন্তু তারপরও ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনা।
কিন্তু এই ট্রেন দুর্ঘটনা গুলোর জন্য দায়ি কে? ।