রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় নাহিদের হত্যাকারীদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
একাধিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। তবে নাহিদের হত্যাকারীরা সবাই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। তারা সবাই হেলমেট পরে নাহিদ হাসান হত্যাকাণ্ডে জড়ায়।
এ কারণে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এবং সঠিকভাবে শনাক্তের আগে হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক পুলিশ। তবে নাহিদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ দাবি করছে, এখন পর্যন্ত হেলমেট পরা ১৭ অস্ত্রধারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার এক্সেসরিজের দোকানের ডেলিভারিম্যান নাহিদ সংঘর্ষে আহত হয়ে সে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্র জানায়, নিউ মার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত নাহিদ ও মোরসালিনকে কোপানো মোট তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নাহিদকে কুপিয়েছে দুই যুবক।
তাদের মধ্য একজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সে ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। থাকেন কলেজের নর্থ হলে। অন্যদের পরিচয়ও নিশ্চিত হতে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
তদন্তকারীদের তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নিহত নাহিদ ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়ান।
একটি বড় ছাতা হাতে তাকে সংঘর্ষের একদম সামনে দেখা যায় অন্তত দুই ঘণ্টা ধরে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে ইটের আঘাতে আহত হয়ে সড়কে পড়ে যান নাহিদ। এরপর তার ওপর নির্মম হামলা চালায় হেলমেটধারী কিছু যুবক।
নাহিদকে সেদিন দুজন পরপর কোপায়। নাহিদ হত্যার পরদিন হাসপাতালে মারা যান দোকানকর্মী মুরসালিন। মুরসালিনকেও কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী। মুরসালিনের হত্যাকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রেখেছেন তদন্তকারীরা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সব ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কয়েকজনকে শনাক্তও করা হয়েছে।
কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হাসানের হত্যাকারী শনাক্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তদন্তসংশ্লিষ্ট এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, নাহিদকে যিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছিলেন, তিনি হেলমেট পরা ছিলেন। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে চিহ্নিত করা গেছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সুত্র কালেরকন্ঠ