ফ্রান্স প্রতিনিধি.
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শওকত হায়াত খান বিপ্লব ফ্রান্সে কঠিন সময়ের মুখামুখি। ২০০৪ সালে তৎকালীন জ্ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা কর্মীদের হাতে হামলার শিকার হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়ে সৃষ্টিকর্তার পরম আশীর্বাদে বেঁচে যান।
বর্বরোচিত সেই হামলার পর প্রাণে বাঁচলেও সেই ক্ষত আজও বয়ে চলেছেন নিজের শরীরে। দীর্ঘ ১৫ বছর পরে বিপ্লবের পায়ের পুরনো সেই ক্ষততে নতুন করে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
অপারেশন হবে আগামী ৩ অক্টোবর ফ্রান্সের অ্যাসিসট্যান্ট হসপিটাল দ্য প্যারিসে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পায়ের পুরনো সেই ক্ষততে তৎকালীন চিকিৎসকরা স্টিল বসিয়ে ছিলেন। তাই পনের বছর পরে সেই জায়গায় নতুন করে অপারেশন বেশ কষ্টসাধ্য। এটা ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন।
শওকত হায়াত খান বিপ্লব কোম্পানীগঞ্জের সম্রান্ত খান পরিবারের সন্তান। নিজ এলাকায় শওকত হায়াত খান বিপ্লবের মার্জিত সুনাম রয়েছে। শওকত হায়াত খান বিপ্লব বাংলাদেশে বর্তমানে আ. লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আপন মামাতো ভাই।
ছোট বেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি রাজনীতি তে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন তিনি। অল্প বয়েসে সাবলীল নেতৃত্ব গুণে তৃনমূলের নেতা কর্মীদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেন। স্বচ্ছ রাজনীতির উদহারণ আর নি:স্বার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে সময়ের সাথে সাথে শওকত হায়াত খান কোম্পানীগঞ্জে জনপ্রিয় নেতৃত্ব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বসুরহাট পোস্ট অফিসের সামনে শিবিরের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা শওকত হায়াত খান বিপ্লবের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে আধমরা অবস্থায় ডাস্টবিনের সামনে ফেলে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা লাভের পর মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেন তিনি। তবে সেই ক্ষত আর যন্ত্রণা বয়ে চলেছেন দীর্ঘ পনের বছর।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।