ইউরোপ ব্যুরো :-
গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্যদিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা৩০ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপি কর্মসূচির সূচনা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুরুতেই প্রথম সচিব বাকি বিল্লার উপস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কমার্সিয়াল কাউন্সেলর দেবব্রত চক্রবর্তী, প্রধান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব আলমগীর কবির এবং পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ। এসময় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও চিন্তাধারা এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ পরিক্রমায় সংঘটিত বিভিন্ন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং সাধারন মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শ্যামল খান তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পক্ষের সকলকে জননেত্রীর পাশে থেকে তার হাতকে আরো শক্তিশালী করার আহ্ববান জানান তিনি।
আরো বক্তব্য রাখেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম মোর্শেদ সাচ্চু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, শাহ্ আলম এগার, কবিতা আবৃত্তি করেন উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মোহাম্মদ মহসিন, সহ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গৌরিচরন সসীম সহ আরো অনেকে।
জাতির পিতার জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই, তথ্যচিত্র ও শিল্পকর্মের সমন্বয়ে “ বঙ্গবন্ধু কর্নার “ উদ্ভোধন করেন রাষ্ট্রদূত ।
পরিশেষে আবু বকর মোল্লার পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।