লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পেশকার তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমির পর্চা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে নিরীহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে ঘুষের টাকা গ্রহণ করে দীর্ঘদিন ধরে জমির পর্চা না দিয়ে টালবাহানা করায় সোমবার ২৪ জুন দুপুরে বিক্ষুব্ধ জমির মালিকরা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পেশকার তরিকুল ইসলামকে তার নিজ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আবু সাঈদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ খবর পেয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই পেশকার তরিকুলের গ্রহণকৃত ঘুষের টাকা ফেরত ও উপযুক্ত বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ অফিসে জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম পর্চা ও রেকর্ডের সংশোধন বাবদ কাগজপত্রে আইনের জটিলতা দেখিয়ে এলাকার জমির মালিকদের কাছ থেকে সরকারী নির্ধারিত খরচ ছাড়াও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গিয়াছে পেশকার তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।তিনি দালালদের সাথে যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে এলাকার জমির মালিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করেছেন। ম্যাপশিট তুলতে সরকারি ফি ছাড়াও দলিলের নকল রংপুর থেকে তুলে এনে দেয়ার নাম করে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার ও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলকা থেকে আসা জমির মালিকগন জানান, পর্চার জন্য সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পেশকার তরিকুল ইসলাম তাদের কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় জমির পর্চা দিতে টালবাহানা শুরু করে। একপর্যায় মৌজা শাখাতী এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান ৩২ হাজার ও রশিদা সাড়ে ৫ হাজার, ফারুক ৩৫ হাজার টাকা সহ বেশ কিছু জমির মালিকগনের কাছ থেকে পেশকার তরিকুল প্রায় কুটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের জমির পর্চা না দিয়ে তরিকুলের অন্যত্র বদলি খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সোমবার ২৪ জুন টাকা ফেরত চেয়ে তার অফিসে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজ কালীগঞ্জ সেটেলমেন্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ পেশকার তরিকুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ঘটনায় সেটেলমেন্ট অফিসার ফজলুর রহমান জানান, নিরীহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।