ঢাকাFriday , 22 March 2019
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

দেশকে সুস্থ রাখতে এবং দেশের মানুষকে সুস্থ রাখতে ৩২ ধারা সংশোধন সরকারের প্রয়োজন

TITUL ISLAM
March 22, 2019 8:37 am
Link Copied!

কোন সরকারকেই সাংবাদিকরা কখনোই বোঝাতে পারেননি স্বাধীন সাংবাদিকতা সরকারের নিজস্ব স্বার্থের জন্য কতটা প্রয়োজন্। যদি দল বা সরকারকে বুঝাতে পারতেন বা সরকার বুঝতেন তাহলে হয়তো স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এমন দ্বীমুখি আচরন করতেন না।

সরকারে যারা থাকেন তারা সব সময়ই সাংবাদিকদের সন্দেহের চোখে দেখেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি বিরক্তিকর ব্যাপার, কারন হিসেবে তারা মনে করেন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকলে তারা যখন তখন আমাদের ভূলগুলো তুলে ধরে জনসমুখে এনে আমাদের ভাবমুর্তি নষ্ট করবে।

তবে সরকারের সবাই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননা এবং আমার বিশ্বাষ- সরকার প্রধান বা দলীয় প্রধান এমনটা মনে করেন না।  যারা দেশ, দলি এবং জাতীয় স্বার্থ ভূলন্ঠিত করে দুর্নীতিসহ নানা ধরনের অন্যায় করেন এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন নিজের স্বার্থের জন্য তারাই সরকার প্রধানকে স্বাধীন সাংবাধিকতার খারাপ দিকটা উপস্থাপন করে  সাংবাদিকদের ছোট করছেন, দেশ তথা দেশের মানুষের অধিকার বঞ্চিত করছেন এবং দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে।

তবে, সরকার প্রধান বা দলীয় প্রধানের কাছাকাছি যেতে পারেন এমন কিছু সন্মানিত নেতাকর্মি আছেন যারা আসলে নিজের স্বার্থের জন্য আইন প্রনেতাদের ভূল বুঝিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুপ দিকগুলো সরকার প্রধানের নিকট উপস্থাপন করান, আর সরকার প্রধান সেই ভুলগুলো অনেক সময় না জেনেই সাংবাদিকদের উপর কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। কারন হিসেবে মনে করি কিছু-কিছু চাটুকার রাজনীতিবিদদের নিয়ে কিছুটা হলেও সরকার পরিচালিত হয়। যার প্রতিফলন হিসেবে আমরা দেখতে পাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭ ধারায় কি ছিল এবং পরবর্তিতে ৩২ ধারায় কি রয়েছে।

৩২ ধারায় উল্লেখিত কোন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের যে কোন তথ্য উপাত্ত যদি গোপনে ধারন করা হয় তবে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী গুপ্তচরবৃত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

আর এ অপরাধের জন্য শাস্তি হিসেবে বিধান রাখা হয়েছে ১৪ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে আইনটিতে।

সেক্ষেত্রে সরকারি অফিসে ঘুষ লেনদেনের কোন চিত্র বা কোন ধরনের দুর্নীতির ফাইলের ছবি নেয়া বা ভিডিও করা এবং তা সরকার তথা দেশবাসির নজরে আনা কেন গুপ্তচরবৃত্তি হবে?

এমন প্রশ্ন থেকে যায় সচেতন জনসাধারনের। এতে করে স্পষ্ট যে, ৫৭ ধারার পরিবর্তে ৩২ ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য প্রচন্ড হুমকির।

এতে আরো স্পষ্ট যে, এই ৩২ নম্বর ধারাটি রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতাবিরোধী একটি ধারা। যা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রশ্রয় দেয়া এবং উৎসাহিত করা হয়েছে।

এতে করে সাধারন জনগণকে সেবা দেয়ার নামে দুর্নীতিবাজরা অনেক বেশি দুর্নীতি করে আরো বড় হবে। লাঞ্চিত হবে সেবা প্রাপ্তির সাধারন মানুষ, বৈধ্য আয় থেকে বঞ্চিত হবে রাষ্ট্র, ক্ষতিগস্ত হবে দেশ, দুর্নাম হবে দল এবং সরকারের।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর  ৩২ ধারা সংশোধন না করলে সরকারের যতটা না ভাল হয়েছে তার চেয়ে খারাপের দিকটা একটু হলেও বেশি হয়েছে বলে মনে হয়। তানাহলে বর্তমান সরকার যে ধরনের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তার প্রসার আরো অনেক বেশি হতে পারত।

৩২ ধারাটি এখনি পরিবর্তন বা সংশোধন না করলে স্বচ্ছতার সাথে দেশ পরিচালনা এবং উন্নত রাষ্ট্র্র গঠনে সরকারের অনেক বড় ধরনের বাধা হবে বলে মনে করি। তাছাড়া মনে রাখতে হবে অন্যায়কে ক্ষনিকের জন্য ধামাচাপা দেয়া যায়, নির্মূলে বিনষ্ট করা যায়না। তা কোন না কোন দিন প্রকাশ পাবেই। তখন হয়তো এই চাটুকারি কিছু স্বার্থপর মানুষের জন্য সরকার তথা দলের অনেক বেশি ক্ষতি সাধিত হতে পারে।

যেমন আমরা পিছনের সরকার বা দলের দিকে লক্ষ্য করলে অনেকটা বুঝতে পারি ক্ষমতার অপব্যবহার কতটা ক্ষতি এবং বঞ্চিত করেছিল তখনকার জনগণ এবং দেশকে, বর্তমানে কতটা ক্ষতি হয়েছে তাদের নিজের এবং দলের। তাই দেশ, দল, রাষ্ট্র তথা সরকারের সুরক্ষা দিতে হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩২ ধারাটি সংশোধন বিশেষ প্রয়োজন।

রাহেবুল ইসলাম টিটুল। প্রকাশক সম্পাদকঃ লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।