অনলাইন ডেস্ক: স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন স্বামী। এরপরই তাঁকে শেষ করে দেয় স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় খালে। পুলিশি জেরার মুখে মৃতের স্ত্রী নিজেই এ কথা স্বীকার করেছেন।
গাজিয়াবাদে ঘটনাটি ঘটেছে ১২ মার্চ। অজয়নগরে প্রেমিক গুড্ডুর সঙ্গে মিলে ৩৩ বছরের স্বামী অজয়কে খুন করেছে তার স্ত্রী। পরের দিন প্রমাণ লোপাটের জন্য তারা দু জন আরও একজনের সাহায্য নিয়ে দেহটি হিন্দোন খালে ভাসিয়ে দেয়। এরপর তার উপর যাতে সন্দেহ এসে না-পড়ে, সে জন্য নিজেই বিজয় নগর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে মিসিং ডায়েরি করে ওই মহিলা। যদিও পুলিশি জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে। তার বয়ান শোনার পর খাল থেকে অজয়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা গেলেও তার দুই সঙ্গী এখনও পলাতক।
পুলিশ রেকর্ড বলছে, অজয়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। সে বেশ কয়েকবার জেলেও গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বছরখানেক আগে জেলে গিয়েই তার সঙ্গে গুড্ডুর দেখা হয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকত অজয়। তার বাড়িতে যাওয়া-আসা শুরু করে গুড্ডু। পরে সে অজয়ের স্ত্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
অজয় কাজ থেকে দেরিতে বাড়ি ফিরত। সেই সুযোগে তার বাড়িতে গিয়ে অজয়ের স্ত্রীয়ের সঙ্গে শারীরিকভাবে মেলামেশা শুরু করে গুড্ডু। ১২ মার্চ রাত ১০.১৫টা নাগাদ বাড়ি ফিরে একটি ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে দেখে গুড্ডুকে। বাড়িতে তখন আরও একজন উপস্থিত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে হাতাহাতি বাঁধে অজয় ও গুড্ডুর মধ্যে। গুড্ডু তখন তৃতীয় ব্যক্তি ও তার প্রেমিকার সাহাযঅয নিয়ে অজয়কে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর তিনজনে মিলে অজয়ের দেহ একটি ব্যাগে ভরে খালে ফেলে আসে। সুত্র এই সময়।