রাহেবুল ইসলাম টিটুল (লালমনিরহাট প্রতিনিধি:)
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পানিখাওয়ারঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনা এবংশিক্ষকদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষার অচল অবস্থা বিরাজ করছে।
সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানিখাওয়ার ঘাট সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে গত ১১ জানুয়ারী থেকে ৩০শে জুন ২০২০ পর্যন্ত ট্রেনিং এ গেছেনে। সহকারী শিক্ষক কাদের খান ও হোসনেয়ারা বেগম দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে পারিবারিক কাজে ব্যস্ত সময়
কাটছেন।
প্রধান শিক্ষক এ বিষয় দফায় দফায় শিক্ষা অফিসে জানালে ও হয়নি কোন কাজ। অথচ ওই দুই শিক্ষক সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে এলেও তারা কেবল খেলাধুলা করে ফিরে যাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে একাই অনেক কষ্ট করে চালাচ্ছেন বিদ্যালয়টি।
স্কুলে না আসা ওই দুই শিক্ষক প্রতি মাসে একদিন স্কুলে এসে পুরো মাসের হাজিরা খাতায় অগ্রীম স্বাক্ষর করে চলে যান।
ওই স্কুলে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ১১৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এত বেশী শিক্ষার্থীকে মাত্র ১ জন শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ওই স্কুলে ১২ টার সময় গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে শুধু প্রধান শিক্ষককে দেখা গেছে।এ সময় বাকী শিক্ষকদের স্কুলে না আসার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ১০ ফ্রেব্রুয়ারীতে পিআরএলএ যাচ্ছি। সহকারী শিক্ষক আরেফিন আক্তার ট্রেনিং রয়েছেন আগামী বছরের জুন পর্যন্ত।
আর বাকী দুইজন শিক্ষক প্রায় দুই বছর যাবত অনুপুস্থিত রয়েছে।আমি এ বিষয় বহুবার বলে ও কোন কাজ হয়নি।এমনকি শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে বললে ও এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল পাইনি। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিক কাদের খান ও হোসনেয়ারা দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলে আসেন না।
তারা স্কুলে আসেন কি না? উপস্থিত ছাত্র
ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে এ প্রতিনিধিকে জানায়, স্যার ও ম্যাডাম অনেক
দিন থেকে আমরা স্কুলে দেখিনা হেড স্যার আমাদের ক্লাস নেন। ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, ওই দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপুস্থিত থাকা মানে এরা শিক্ষার শত্রু“ ছাড়া কিছু না।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, শিক্ষকরা স্কুলে অনুপুস্থিত থাকার
বিষয়টি নিয়ে আমরা ডিপিও বরাবর রিপোর্ট করেছি।