নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে আইনি প্রতিকারের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দলের পরাজিত প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্টরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে যাচ্ছেন।
রবিবারের ভোট বাতিল করে নতুন করে ভোট নেওয়ার দাবিতে আজ নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি আছে। এ জন্য ঢাকায় ডাকা হয়েছে সব প্রার্থীকে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা আছে।
গত রবিবারের ভোটে ঐক্যফ্রন্টের মাত্র সাতজন প্রার্থী জিতেছেন। আর তাদের সমর্থনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র আরেক প্রার্থী। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, কারচুপি করে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আর এর বিরুদ্ধে রাজপথের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচিত প্রার্থীর নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ আছে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে মামলা করে ভোলা-৩ আসনের নির্বাচন বাতিল করাতে পারেন বিএনপির হাফিজউদ্দিন আহমেদ। পরে সেখানে হয় উপনির্বাচন।
তবে এই মামলা করে সংসদে বসার ইতিহাস সুখবর নয়। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয় না বললেই চলে।
বিএনপিরর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া প্রার্থীদের ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির প্রমাণ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের অস্বাভাবিক ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার হওয়া এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের তালিকাও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ইসিতে যাত্রা
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় তাদের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে যাবেন। ভোটে ‘সীমাহীন অনিয়ম’, কারচুপি, মামলা, গ্রেপ্তার, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস, প্রার্থীদের আটক ও প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত জমা দেওয়া হবে।