লেখক ঃ আসাদুজ্জামান সাজু, সাংবাদিক, দৈনিক মানবকন্ঠ।
এলাকায় প্রচারণা চলছে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নে নৌকায় ভোট দিন আর গণতন্ত্র মুক্তির লক্ষে ধানের শীষে ভোট দিন। কিন্তু তাদের কাছে স্বাধীনতার চেতনা ও গণতন্ত্র কতটা নিরাপদ ? আওয়ামীলীগ আজ সৈরাচার এরশাদের দল জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়ে মহাজোট করে ভোটে অংশ নিয়েছে অপর দিকে বিএনপি তথা ড. কামাল স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে সাথে নিয়ে ভোট যুদ্ধের যোদ্ধা হয়েছেন।
যে জোটে এরশাদের মত সৈরাচার বা একতন্ত্রে বিশ^াসী ব্যক্তি থাকবেন সেই জোট ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুক্ত গণতন্ত্র বা মানুষের ভোট, ভাত ও রাজনৈতিক অধিকার কতটুকু ফিরে আসবে ? যে মহা জোটের রথি মহারথিরা এক সময় বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাতে চেয়েছিলো এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর আনন্দ উল্লাস করেছিলো তাদের হাতে এখন বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন কতটা নিরাপদ ? সম্প্রতি এরশাদ সাহেবের স্ত্রী বলেছেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যাবে অতএব লাঙ্গল মার্কাকে কিভাবে বিজয় করতে হবে সেটা আওয়ামীলীগের ব্যাপার। সবে মিলে এটা প্রমানিত এ জোট অবশ্যই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। এ জোটের কাছে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নের আশা করা কতটুকু সম্ভব ?
অপর দিকে বিএনপি তথা ড. কামাল সাহেব গণতন্ত্রের কথা বলছেন। তারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের ভিশন ছিলো গণতন্ত্র। আমরা সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করব। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়তকে সাথে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভিশন মুক্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা আমার কাছে হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের এ ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নয়, নিশ্চিত ক্ষমতায় যাওয়ার।
সবমিলে আমরা বলতে পারি, নৌকা, লাঙ্গল আর ধানের শীষ, সব সাপের একই বিষ। তাদের মুল লক্ষ্য ক্ষমতা, অন্য কিছ্ইু নয়। তাহলে মুক্তির পথ কি ? এই মুহুত্বে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের বিকল্প কিছইু সম্ভব নয়। যারা ওই দুই জোটের বিকল্প শক্তি তৈরীর চেষ্টা করছেন তারা তো অনেক আগেই রাজনীতিতে পচা আলু হয়ে গেছেন। এ ছাড়া দেশে মানুষ ওই দুই জোটের ডাকে অনেকটা অন্ধ হয়ে গেছে। তবে কিছু মানুষ জিম্মি হয়ে আছে।
তাই শুধু বলবো, যে জোটেই ক্ষমতায় আসুক ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর বিএনপি মার্কা বা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর মত আওয়ামীলী মার্কা নির্বাচন আমরা আর দেখতে চাই না।