লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। সংর্ঘষে আহত হয়েছে আরো ৫ জন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ইংরেজ আলী ও খবির উদ্দিন নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-জালাল মিয়ার পুত্র আব্দুল জলিল মিয়া (৫০), আব্দুল গফুর মিয়ার গোলাম রব্বানি (৪৫) ও কছুর উদ্দিনের পুত্র শহিদার রহমান (৬০)। আহতদের আদিতমারী ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত জলিল মিয়া গত বছর তালুক হরিদাস গ্রামে ২৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই জমি পার্শ্ববর্তী টিপের বাজার এলাকার খালেক মুন্সির দখলে ছিল। তারা চাষাবাদ করলেও জলিলকে ভোগ দখলে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠক হলে চলতি আমন মৌসুমের ধান উত্তোলনের পর জলিলকে ভোগ দখলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী গত সোমবার ধান কেটে নিয়ে যায় খালেক মুন্সি। এরপর রাতেই ওই জমিতে ঘর উঠান জলিল মিয়া। মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ি দেখতে যান জলিল মিয়া।
এ সময় ওৎ পেতে থাকা খালেক মুন্সির লোকজন জলিলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে তার ছেলে জাহেদুল, ভাই রব্বানী ও মামা শহিদার ছুটে এলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল জলিল মিয়া (৫০), গোলাম রব্বানি (৪৫) ও শহিদার রহমানের (৬০) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহত জলিল মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে নুরুল হকের পুত্র ইংরেজ আলী ও সোবাহান আলীর পুত্র খবির উদ্দিন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আদিতমারি থানার ওসি মাসুদ রানা এ ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।