লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর দলগ্রাম এলাকায় একটি বাল্য বিয়ে হচ্ছে জেনে শিশু সহায়তায় ১০৯৮ ফোনে এমন তথ্য দেয়ায় গ্রাম পুলিশ শরিফুল ইসলাম কে জনসম্মুখে নাবালিকা মেয়ের চাচা পাটওয়ারীটারী এলাকার পল্লী চিকিৎসক আহসান হাবিব পিন্টু ওই গ্রাম পুলিশকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও প্রান নাশের হুমকী দিয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গ্রাম পুলিশ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ০৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং-৩৭৬।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর দলগ্রাম পাটওয়ারীটারী এলাকার হাবিবুর রহমান ঝন্টু তার নাবালিকা কন্যা ও কামারপাড়া দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী উম্মিয়া খাতুন ঝর্নার (জন্ম তারিখ ১২ মার্চ ২০০৫) বিবাহ কিছুদিন পূর্বে দলগ্রাম ইউনিয়নের কাজী আবু হানিফের বাসায় রেজিস্ট্রেশন কাজ সম্পূর্ণ করেন।
পরে গতকাল ৮ সেপ্টম্বর বাল্য বিয়ের আয়োজন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য পেয়ে শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা(সমাজকর্মী) আবু সাঈদ সত্যতা যাচাই করতে ঝন্টুর বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে দিতে নিষেধ করে।
পরে ক্ষিপ্ত হয়ে পল্লী চিকিৎসক আহসান হাবিব পিন্টু শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা’র (সমাজকর্মী) আবু সাঈদ এর উপস্থিতিতে পাটওয়ারীটারী বাজারের দুলুর দোকানের সামনে ৮ সেপ্টম্বর রাত ৯টায় গ্রাম পুলিশ শরিফুল কে তথ্যদাতা সন্দেহ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাননাশের হুমকী দেন।
গ্রাম পুলিশ শরিফুল ইসলাম হুমকি দেয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বিষয় উপজেলা শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা (সমাজকর্মী) গ্রাম পুলিশকে হুমকির ঘটনার সত্যতা স্বীকর করে জানান,খবর পেয়ে আমি বিয়ে বাড়ীতে গিয়ে বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে নিষেধ করে এসেছি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
আরজু সাজ্জাদ হোসেন সাধারন ডায়েরী করনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।