শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার ২০ রান। ১৯তম ওভারে থিসারা পেরেরা দিলেন মাত্র এক রান! ওই ওভারই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল যেন। সাইফউদ্দিনের করা চূড়ান্ত ওভারে ১১ নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস থামল ১৪৬ রানে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেল ৭ রানের দারুণ এক জয়।
মঙ্গলবারের এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে ওঠে এল ভিক্টোরিয়ান্স। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়েও রান ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে ঢাকা ডায়নামাইটস।
থিসারাকে এ জয়ের মূল কারিগর বলা যায়। ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৬ রান। বল হাতে ৩ ওভারে ১৪ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে আছে ঢাকার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আন্দ্রে রাসেলের উইকেটটিও।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫০ রানেই চার উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল ঢাকা। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি গড়ে সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন রাসেল। বিধ্বংসী রাসেল যখন একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছেন, তখনই থিসারার হাতে বল তুলে দেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। থিসারা আস্থার প্রতিদান দেন রাসেলকে ফিরিয়ে। ফেরার আগে ২৪ বলে দুই বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় ৪৬ রান করেছিলেন রাসেল।
রাসেলের আউটটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পরের ওভারে এসে অধিনায়ক সাকিবকে (২০) তুলে নেন আফ্রিদি। আফ্রিদির পর আবার বল হাতে নিয়ে থিসারা হানেন জোড়া আঘাত। একই ওভারে তিনি ফেরান শুভাগত হোম আর নুরুল হাসান সোহানকে। এরপর নাঈম শেখ আর রুবেল হোসেন মিলে চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ১৭ রানে এনামুল হক বিজয় (১) ও ২৭ রানে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (৭) বিদায় নেন। শামসুর রহমান শুভর সঙ্গে কিছুক্ষণ লড়াই করে ফেরেন তামিমও। ২৯ বলে ৩৪ রান করে সাকিবের বলে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ওপেনার।
এরপর শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন শুভ। এই জুটিতে ১৬ বলে আসে ৩৪ রান। আট বলেই আফ্রিদি করে ফেলেছিলেন ১৬। কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে তাকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। শুধু তাই নয়, একই ওভারে সেট ব্যাটসম্যান শুভকেও তুলে নেন ডায়নামাইটস অধিনায়ক। ৩৫ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন শুভ।
এরপর থিসারা পেরেরার ১২ বলে ২৬ রানের সুবাদে কোনোমতে দেড়শোর কোটা পার করে ভিক্টোরিয়ান্স। রানটা আরেকটু বেশি হতে পারত। লিয়াম ডসন ১৪ বলে মাত্র ৬ রান করায় সেটি আর হয়নি।
ঢাকার পক্ষে সফল বোলার সাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে তিনি নেন ৩টি উইকেটে। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ও রুবেল হোসেন ২টি করে শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৩ (শুভ ৪৮, তামিম ৩৪, থিসারা ২৬, আফ্রিদি ১৬; সাকিব ৩/২৪, রাসেল ২/২৭, রুবেল ২/২৬)
ঢাকা ডায়নামাইটস : ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ (রাসেল ৪৬, সাকিব ২০, নারিন ২০; থিসারা ৩/১৪, আফ্রিদি ২/১৮)
ফল: কুমিল্লা ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: থিসারা পেরেরা (কুমিল্লা)।