লেখক : আসাদুজ্জামান সাজু, সাংবাদিক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমৎকার একটি মন্ত্রী পরিষদ তৈরী করেছেন। তার দলের বাঘা বাঘা কিছু নেতারাও ওই মন্ত্রী সভায় স্থান পায়নি। রাখা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের লোকজনদের।
তবে জাতীয় ৪ নেতার পরিবার সদস্যদের মন্ত্রী পরিষদে স্থান না পাওয়ার বিষয়টি একটু হলেও দুঃখ জনক। আমার বিশ্বাস প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ৪ নেতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি মুহুর্তে মূল্যয়ন করেছেন এবং আগামী দিনেও করবেন। এ মন্ত্রী সভায় বাম নেতাদের বাদ দিয়েছেন এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করবো না। শুধু বলবো, প্রধানমন্ত্রী তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে যত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ওই সিদ্ধান্ত গুলোর মধ্যে বামদের বাদ দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করা একটি সফল সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তে দেশের আম-জনতা বেশ খুশি।
কারণ ওই সব বাম নেতারা তাদের নিজের দলের প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা বা সাহস নেই। তারা আওয়ামীলীগের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন আর নিজেদের বাম বাম বলে বাম রাজনীতিতে সুবিধা নিবেন সেটা হতে পারে না। তাদের মাঝে বাম রাজনীতির বিন্দু পরিমান আদর্শ নেই।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতি আমার একটি বক্তব্য, আপনাকে কাওমী জননী উপাধী দেয়ার পর থেকেই আমি আতংকিত। কারণ কথিত বামদের মাঝে যেমন বাম রাজনীতির আদর্শ নেই। তেমনি আমাদের দেশের কিছু আলেমের মাঝে ধর্মীও আদর্শ নেই। তারা ইসলামকে ব্যবসা-বানিজ্যতে পরিনিত করেছে। যুগে যুগে ওই সব আলেম নিজেদের স্বার্থের কারণে ভুয়া হাদিস তৈরী করে প্রিয় রসুলের নামে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। অন্য ধর্মের লোকজন ইসলামের তেমন কোনো ক্ষতি করেন নাই। কতিপয় আলেম সমাজেই আমাদের ইসলাম ধর্মটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। তাই তো দেখতে হচ্ছে, ওয়াজের নামে হেলিকপ্টার হুজুরদের আগমন ঘটেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বঙ্গবন্ধু ও জাতির জনকের কন্যা। আপনার পিতা যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, আপনি কিন্তু সেই রাষ্ট্রের কথা ভুলে গেছেন বুঝি। আমরা চাই আপনার হাত ধরে সাংবিধানিক ভাবে বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরোপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ৭২ সালের সংবিধানে আমরা ফিরে যেতে চাই। বামদের যেভাবে বাদ দিয়েছেন একই ভাবে ধর্ম ব্যবসায়ীদেরও বাদ দিবেন এটুকু অনুরোধ রইল।