দশম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে খাদ্য ও পরে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন নুরুজ্জামান আহমেদ। এবার তিনি পদোন্নতি পেয়ে হলেন একই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী। লালমনিরহাট জেলায় এবার পূর্ণমন্ত্রী । দেখুন ভিডিও
পেয়ে এ অঞ্চলের মানুষ তাই বেশ খুশি। দুপুরের পর থেকে মন্ত্রীসভায় আমন্ত্রণ পাওয়াদের নাম টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসতে শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় আনন্দ-উল্লাস। তাদের ভক্ত-সমর্থকরা নেমে আসেন রাস্তায়। চলে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ।
আনন্দের এ বন্যার খবর পাওয়া গেছে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকাসহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে।
নুরুজ্জামান আহমেদ : বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন নুরুজ্জামান আহমেদ। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামে। কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট-২ আসন থেকে তিনি সদ্য সমাপ্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহোজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।
এর আগে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদে এ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে প্রথমে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী হন। পরে তাঁকে সেখান থেকে দেয়া হয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। আর এবার তিনি পেলেন একই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব। গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এ আসন থেকে নুরুজ্জামান আহমেদই পরপর দু’বার মন্ত্রী হলেন।
কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডার আরএমএমপি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি এসএসসি এবং ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে যথাক্রমে এইচএসসি ও বিকম পাস করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদ ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে ছিলেন আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য। নুরুজ্জামান আহমেদ একাধিকবার কালীগঞ্জের তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। দু’বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দু’বারই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।