লালমনিরহাট প্রতিনিধি-
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বামী কতৃক স্ত্রীকে খোলা তালাক দেওয়ার আটমাস পরে স্ত্রী কতৃক হয়রানীর শিকারের অভিয়োগ উঠেছে ঢাকা জেলার সুত্রাপুর থানার মৃত নেছার উদ্দিনের মেয়ে স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৩৪) এর বিরুদ্ধে।
গত ১২ ই ফেব্রুয়ারী উপজেলার মদাতী ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী স্বামী মদাতি ইউনিয়নের নুর ইসলামের পুত্র আশেদুর ইসলাম রাসেদ (৪০)
সাম্প্রতিক সময়ে স্বামী রাশেদের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি করা একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে আশেদুর ইসলাম কে যুবলীগ নেতা বলে প্রচার করা হলেও এমন কোন দলীয় পরিচয় আশেদুরের কোথাও খু্ঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনা অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১১ই নভেম্বর/২৩ সালে কোন একটি ঘটনাচক্রে নাছিমা আক্তারের সহিদ আশেদুরের তিনলক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে শরিয়ত মোতাবেক উভয়ের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। বিয়ের তিন মাস পরে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে নিকাহ ও তালাক রেজিস্টারের অফিসে উপস্থিত হয়ে উভয়ের মধ্যে খোলাতালার সম্পূর্ণ হয়।
এ তালাকের ছয়মাস ১০ দিন পরে স্থানীয় দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে স্ত্রী নাছিমা আক্তার বিজ্ঞ মহানগর হাকিম আদালত, ঢাকায় যৌতুক নিরোধ আইনের তিন ধারা অনুসারে স্বামী আশেদুরের বিরুদ্ধে সি আর মামলা নং ১৭৭/২০২৪ দায়ের করেন। যাহা আদালতে চলমান রয়েছে।
স্ত্রী নাছিমা আক্তারের আদালতে দায়ের করা পিটিশনের অভিযোগ মোতাবেক উভয়ের তালাক সম্পন্ন হওয়ার পরে ৩০ শে মার্চ/২০২৪ এ স্বামী আশেদুর কে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার দাবি এবং পুনরায় ১০ ই আগস্ট/২৪ এ দুই লক্ষ যোতুক দাবি করে স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে মারধর সহ নির্যাতনের অভিযোগ সহ ১৪ ই আগস্ট /২৪ এ বিষয়টি পারিবারিকভাবে আপোস মিমাংসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত শরীয়ত মোতাবেক খোলা তালাক হওয়ার পরে স্বামী স্ত্রী একত্রে থাকার কথা নয় তাহলে স্ত্রীর আনিত অভিযোগের সত্যতা কতটুকু! প্রশ্ন রয়ে যায়।
সরেজমিন ও সোস্যাল মিডিয়ার ভিডিওতে দেখা যায় স্ত্রী নাছিমা আক্তার গত ১২ ই ফেব্রুয়ারী/২০২৫ রোজ বুধবার পুনরায় স্ত্রীর দাবি নিয়ে একটি স্থানীয় দালাল চক্রের খপ্পরে কু পরামর্শে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আশেদুরের বাড়িতে ওঠার চেস্টা করে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, নাছিমা আক্তার ও তার মা লোভী প্রকৃতির। তারা স্থানীয় দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে পুনরায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে এসব করছে।
সরেজমিনে স্ত্রীর খোঁজ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি আশেদুরের স্ত্রী দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে আশেদূর জানান, তালাকের পরে আদালতে মামলা হওয়ায় আমি আদালত কে সম্মান দেখিয়ে ঢাকায় হাজিরা দিয়ে আসছি এবং আদালতে আমি তালাকের সকল বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আদালতের প্রতি আমার আস্থা আছে অবশ্যই আমি সুবিচার পাবো।