লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ময়নার চওড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
আহতের নাম মোঃ আবুল কালাম (৭০)।
সে কমলাবাড়ি ইউনিয়নের ময়নার চওড়া
গ্রামের মৃত আমজাদ হোনের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে গত (৭ ফেব্রুয়ারি ) শুক্রবার বিকালে ময়নার চরা হাফিজিয়া মাদ্রাসার পিছনের রাস্তায়।
এ ঘটনায় আহতের ছেলে শরীফ মিয়া
বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আহতের ছেলে বাদি হয়ে চন্দনপাট ময়না চওড়া গ্রামের হামলাকারী, মনির হোসেন ইদ্রিস আলী ও তার সহযোগি শহিদুল ইসলাম ডিলার ,সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদিতমারি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩/১১/২৪
তাং ওই মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলের মাইকিং ও ব্যানারে আওয়ামী লীগ নেতার নাম না রাখার জেরে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসার পরিচালক কে হুমকি প্রদান করে আসতেছে, শহিদুল ইসলাম ডিলার নামে এক ব্যক্তি, তারই রেশ ধরে এক পর্যায়ে গত ৫/২/২৫ তারিখ মাদ্রাসার
ছাত্ররা ওযু খানার পানি ব্যবহার করাকে নিয়ে, শহিদুল ইসলামের সহযোগী, রুস্তম আলী মাদ্রাসার পরিচালকের সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এর জের ধরে ময়নাচড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম কে পিটিয়ে আহত করলে, আদিতমারি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, এরই সূত্র ধরে গত শুক্রবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) থানায় মামলা করায়, মাদ্রাসার বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার বিভিন্ন ঘটনায় মাদ্রাসার পক্ষে প্রতিবাদ করায়, বিবাদী রুস্তম আলী, মনির নামে এক ব্যক্তিকে , দিয়ে, আবুল কালাম নামে এক বৃদ্ধা নামাজ পরে বাড়ি ফেরার পথে মাদ্রাসার পিছনের রাস্তায় প্রতিরোধ করে মনির মিয়াসহ ৫ জনের একটি সন্ত্রাসীদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিরীহ আবুল কালামের উপর পরিল্পিত হামলা চালায় এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তার মুখের দাড়ি ছেড়ে ফেলে গুরুতর আহত করে।
আহত আবুল কালাম পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তখন আবুল কালাম কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হামলাকরীদের ভয়ে আবুল কালাম ও তার পরিবারের লোকজন ভয়ে আতংঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
এ ব্যাপারে হামলাকারী মনির মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানা অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।