লালমনিরহাট কালীগঞ্জে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের চলবলা ব্লকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে চাষাবাদে গ্রামের কৃষক ভুবনেশ্বর রায় ৩০ শতাংশ জমিতে আবাদ করেন গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ নতুন জাতের এই পেয়াঁজ আবাদে প্রথমবারই সফলতার মুখ দেখেছে কৃষক ভুবনেশ্বর রায়। তবে কমতে পারে পেঁয়াজের বাজার দর! জমি থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন উপজেলার বিভিন্ন কৃষক।
উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের চলবলা গ্রামের নতুন জাতের এই পেঁয়াজের আবাদ দেখতে আসেন
কালীগঞ্জে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ গ্রীষ্মকালীন উচ্চ তাপমাত্রার ও অধিক বৃষ্টি সহনশীল জাত,যা আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়।
চারা লাগানোর ১০০-১১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টর জমিতে ১১ থেকে ১৩ মেট্রিক টন পেয়াঁজ হয়। এই জাতের এক একটি পেঁয়াজের ওজন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত।জানা গেছে, পেঁয়াজ উৎপাদনে সারাদেশের মধ্যে উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলা এ বছর ২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে। কালীগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নতুন জাত সাড়া ফেলেছে কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে চাষিদের মধ্যে।
কৃষকেরা বলেন, আমাদের এলাকায় সোনারহাটের কৃষক সাধন রায় তার ২০শতাংশ জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নামের নতুন জাতের পেঁয়াজ আবাদ করে প্রথমবারই সফল হয়। এক একটি পেঁয়াজের ওজন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। এত বড় পেঁয়াজ কখনো দেখিনি। পেঁয়াজের ফলনও খুব ভালো হয়েছে।
কালীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, যখন পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয় তখন এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ কৃষকরা আবাদ করলে তারা অনেক লাভবান হবেন এই পেঁয়াজ জমি থেকে উত্তোলন করা হবে তখন দেশে পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকবে। কৃষকেরা পেঁয়াজের ভালো দাম পাবেন। অধিক ফলন ও ভালো দামের কারণে কৃষকের জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ লাগানোর পরামর্শ এই কর্মকর্তার।