রবি মৌসুমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সার সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। উপজেলার কৃষকরা এখন ধান, ভুট্টা, গম, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলাতে প্রচণ্ড রকমের ব্যস্ত। এসব শস্যের জন্য জমি প্রস্তুতির সাথে সারের প্রয়োজন পড়ে। এ সুযোগে জেলার কিছু অসাধু ডিলার সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সার সঙ্কট দেখিয়ে কালোবাজারে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন। এ কারণেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন কৃষকরা।
গতকাল শনিবার সকাল সন্ধা থেকে আজ রবিবার সকাল থেকে কৃষকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে সারের দাবি তুলে জেলার কালিগঞ্জ বাজারে,চাপারহাট বাজার,ভোটমারীতে নির্ধারিত ডিলারদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা দীর্ঘ সময় সড়ক অবোধ করে নির্ধারিত মূল্যে সারের দাবিতে রাস্তায় বসে পড়েন।
রবি মৌসুমে লালমনিরহাটের তিস্তায় জেগে ওঠা চরের শত শত হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো যায়। এ কারণেই বছরের এ সময়টাতে সারের বড় প্রয়োজন পড়ে।
তুষভান্ডার ইউনিয়নের কৃষক মাখন মিয়া জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার কেনার জন্য কয়েক দিন ধরে ঘুরছেন তিনি। কিন্তু ডিলার নানা অজুহাতে কৃষকদেরকে ফেরত দিচ্ছেন। তিনি জানান অথচ বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সেই একই সার চড়া দামে বিক্রি করছেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায়, চাপারহাট বাজারে, সার নিয়ে বিক্ষোভ করে, স্থানীয় জনতা, পরে ঘটনা স্থলে উপজেলা প্রশাসন গিয়ে পরিচিতি শান্ত করে,।
এবং আজ রবিবার, সকালে ভোটমারীতে একই দাবিতে বিক্ষোভ করে স্থানীয় কৃষক , সেখানেও গিয়ে পরিচিতি পড়ে আসে।
অনেক ডিলারের কাছেই টিএসপি, এমওপি সার পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে, তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। ১৩৫০ টাকার টিএসপি সার তারা বিক্রি করছেন ২৪-২৫ শ’টাকায়। ১০০/৫০ টাকার ডিএপি সারের বস্তা বিক্রি করা হচ্ছে ১৭-১৮ শ’ টাকায়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় জানান, আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে , কেউ যদি সার কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করে , তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছে উপজেলা প্রশাসন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, গোটা জেলার চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। এরপরেও কেন সার সঙ্কট ও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।