লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
রোববার (৭ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার ঘটনাও ঘটে।
সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবি করেন।
এর আগে ওই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিআইওর বিরুদ্ধে।
প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম এ উপজেলায় যোগদানের পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্বয় না করে নামমাত্র ত্রাণ বিতরণ করে বাকি সব নিজেই আত্মসাৎ করেন।
ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে বিল উত্তোলনও করেন পিআইও মাইদুল ইসলাম। এছাড়া টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পগুলোতে ২০ শতাংশ কমিশন শর্তে বিলে স্বাক্ষর করে থাকেন এই পিআইও এমন অভিযোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের।
ওই অভিযোগে আরও দাবি করা হয়, পিআইও মাইদুল ইসলামের কারণে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের পাল্টা-পাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি, সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু ও ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক, গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। কমিশন ছাড়া তিনি কোনো বিলে স্বাক্ষর করেন না। আমরা এই পিআইওর বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তার তদন্তে যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আমি দোষ মাথা পেতে নেব। এর বাহিরে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমন্বয় কমিটির সভায় কথা বলেছেন। তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।