রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট ।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বেড়েছে। তিস্তা অববাহিকায় আবারও প্লাবিত হয়েছে চরের নিম্নাঞ্চল গুলো।
রোববার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায়ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৭০ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপরে। তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪ টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ওই দিন সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যায় তা কমে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ রোববার দুপুরের পর থেকে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় পানি ৫২.৭০ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হয়। যা বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপরে।
জানা যায়, তিস্তা ব্যরাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলও ফের ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আবারও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গীমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, চরবৈরাতী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চোরাহা, দক্ষিণ বালাপাড়া, কুটিরপাড়, চর গোবরধন, এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দোয়ানী-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন বলেন, তিস্তা নদী পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এ কারণে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আরও কি পরিমান পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।