রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দুই নং কাশীরাম হামকুড়া গ্রামের মৃত্যু আব্দুল জলিলের ছেলে শতবছরের বৃদ্ধে আনারুল ইসলামের ঝড়ে বিধস্ত হয়ে পরেছে পরিবারটি ২ দিন ধরে খোল আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। দুই মেয়েকে রেখেছে আবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে।
গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালীগঞ্জের, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ৫ মিনিটের ঝড়ে ৩/ থেকে ৪ গ্রামের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ওই ইউনিয়নের প্রায় বিভিন্ন গ্রামে লণ্ডভণ্ড করে দেয় ঝড়টি।
এতে ভেঙে পড়ে উপজেলার প্রায় শতাধিক কাচাঁ ঘর-বাড়ি। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে দু’দিন ধরে বসবাস করছেন ওই পরিবারগুলো। কেউবা আবার আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
শুধু ঘর-বাড়ি নয়, ঝড়ে নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি ক্ষেত ও পাকা ধান। বিনষ্ট হয়েছে অনেক ফলজ ও বনজ গাছ-পালা। হেলে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। ফলে ওই এলকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে দু’দিন ধরে।
উপজেলার কাশিরাম গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত শত বছরের বৃদ্ধ আনারুল ইসলাম কান্না জরিতো কন্ঠে
সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঝড়ে আমার সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। টাকা পয়সার অভাবে ঘর তুলতে পারছি না।’
‘ঝড়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে দিয়ে গেছে। এখন সবাই খোলা আকাশের নিচে দিন রাত কাটাচ্ছি।’
যদি দয়া করি মোক একনা সরকারী ঘর কাও দেইল হায় বাবা
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এ সময় তারা ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলোকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে তিন নং তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য নুরনবী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চেয়ারম্যান পরিদর্শন করে এসেছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম জানান, এ অসহায় অসহায় আনারুল সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য বলেই মনে করি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল হাসান বলেন, আমরা আনারুলের খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।