রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা স্থায়ী রূপ নিয়েছে নেই কোন শীতবস্ত্র । প্রতিদিন সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারদিক। দিনজুড়েই থাকছে হিমপ্রবাহ, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে না হতেই আবার বাড়ছে শীত-কুয়াশা।
দেখা গেছে, এর মধ্যেই চলছে জীবন। মানুষ যার যার কাজে বেরিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিরাট একটি অংশ তাদের ক্ষেতে খামারে কাজে নেমে পড়ছেন। কুয়াশার মধ্যেই তারা আলু, তামাকসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে কাজ করছেন।
শীতের দাপটে প্রানিক অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের জীবন বিশেষভাবে বিপর্যস্ত। শীত মোকাবেলায় অনেকেরই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র নেই। অরাজনৈতিক ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবি কিছু সংগঠন শীতবস্ত্র বিলি করছে।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, এরই মধ্যে শীতার্তদের মাঝে ২৮০০০ কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। শীতার্তদের জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই টাকায় শীতবস্ত্র কেনা হবে।
শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ। সরকারি হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে এসব রোগীদের। এরমধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। তবে হাসপাতালে চেয়েও বেশি ভিড় করছে পল্লী চিকিৎসকদের কাছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পল্লী চিকিৎসক জানান, তার কাছে নিয়মিত বমিভাব, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যাথা, ডায়রিয়া-আমাশয় রোগসহ নানা ধরনের রোগী আসছেন। কেউ কেউ নিজেরাই ওষুধ চেয়ে নিচ্ছেন। সাধারণত রোগীর মধ্যে একটি উপসর্গ দেখা গেলে তিনি চিকিৎসা দিচ্ছেন। একাধিক উপসর্গ যাদের সরকারি হাসপাতালে যেতে বললেও তারা যেতে চাচ্ছেন না।
এদিকে দেখা গেছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মোবাইলে ভিডিওর মাধ্যমে তাদের রোগী দেখছেন। কোনো কোনো চিকিৎসক দূর থেকে রোগী দেখছেন। এমন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন অনেক রোগী। তবে, শীত বাড়লেও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।