ঢাকাFriday , 13 November 2020
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

আদিতমারীতে ভাগাভাগি নিয়ে ইউএনওকে চেয়ারম্যানের হুমকি! চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৮ কর্মকর্তার অভিযোগ

TITUL ISLAM
November 13, 2020 2:35 pm
Link Copied!

প্রতিনিধি লালমনিরহাট।।

ইউএনওকে গালমন্দসহ প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউএনওসহ ১৮জন কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগটির অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাজকল্যানমন্ত্রী ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে পাঠানো হয়েছে।

সূত্রমতে, ওই উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের সাথে ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সম্প্রতি এডিপি ও আশ্রয়ন প্রকল্প’র ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পায়। বৃহস্পতিবার মাসিক সমন্বয় সভায় ভিজিডি ও মাতৃত্ব ভাতার তালিকা তৈরী নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ পায়। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনওকে গালমন্দসহ প্রাণনাশের হুমকী দেন।

অভিযোগে দাবী করা হয়েছে, আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিধিবিধান ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে কাজের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে গালমন্দ করে সেই দপ্তরের কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকী দেন চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদের ভিজিডি, মাতৃত্বভাতা, কৃষি প্রণোদনা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুবিধাভোগীর তালিকায় নিজের অংশ দাবি করেন তিনি।

বিধি বহির্ভূতভাবে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেয়ায় এবং প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই বিল পরিশোধ না করায় সাস্প্রতিক সময় উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীকে রুমে বেঁধে পেটানোর হুমকী দেন চেয়ারম্যান। শুধু তাই নয়, তার কথামত কাজ না করায় একজন নারী কর্মকর্তাকে বহিরাগতদের দিয়ে মানহানীর ঘটনা ঘটানোর হুমকী দিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাও তুলে ধরা হয় এতে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার মাসিক সমন্বয় সভায় ভিজিডি ও মাতৃত্ব ভাতার তালিকায় নিজের অংশ দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। যা বিধি সম্মত না হওয়ায় ইউএনও নাকোচ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সভা অসমাপ্ত রেখে চলে যান চেয়ারম্যান। এরপর চেয়ারম্যান ইউএনও অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা লোক মার্ফতে খুলতে গেলে তার ছবি তুলেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। একই সাথে ক্যামেরা খুলে ফেলার কারন জানতে চাইলে ইউএনওকে গালমন্দ করেন। বলা হয় “বেশি কথা বললে পিটিয়ে নরসিংদী পাঠিয়ে দিবো। উপজেলা পরিষদ কি তোর বাবার সম্পত্তি, উপজেলা পরিষদ কি তুই চালাবি?”।

অভিযোগে উপজেলা পরিষদ আইনের লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, আমরা সকল দফতরের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলেও আমরা বিশ্বাস রাখি।

তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস অভিযোগ এসব অস্বীকার করে বলেন, জনস্বার্থে গত অর্থ বছরের সকল দপ্তরের কাজের অগ্রগতি জানতে চাওয়ায় অফিসাররা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ইউএনও নিজেই বিধি বহির্ভূতভাবে ঠিকাদারের নামে নিয়ে এডিপি ও আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর কাজ করছেন। স্থানীয় ভাটা মালিকদের চাপ দিয়ে ইট নিয়ে এসে উপজেলা পরিষদে রেখেছেন তার ঠিকাদারী কাজের নির্মাণ সামগ্রী।

তিনি বলেন, তদারকী কর্মকর্তা হয়ে নিজে কাজ করার বিষয়টির প্রতিবাদ করায় ইউএনও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করেছেন। এসব বিষয়ের সুষ্ঠ তদন্ত করার জোর দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ সচিবকে (ডিডিএলজি) তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।