লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রমজান আলীর ছোট ভাইয়ের ফার্মেসী থেকে ৩ শত পিচ সরকারী সেফটরিয়াক্সন ইনজেকশন আটক করেছে স্থানীয় জনতা।
রোববার রাতে ওই উপজেলার দিঘীরহাট এলাকায় ডাঃ রমজান আলীর ছোট ভাই জয়নাল আবেদীনের রানা ফার্মেসী থেকে ৩ শত পিচ ইনজেকশন ও বিনজিরা বেগম (৩২) নামে এক মহিলাকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে স্থানীয় সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসে বিনজিরাকে ছেড়ে দিয়ে ইনজেকশনগুলো ইউনিয়ন পরিষদ কোষাগারে জমা রাখেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে দিঘীরহাট এলাকায় আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে বিনজিরা বেগম বেসরকারী একটি এ্যম্বুলেন্স থেকে একটি কাটুনসহ নামে। ও কাটুনটি ওই এলাকার রানা ফার্মেসীতে গিয়ে দেয়। এ সময় তাদের সন্দেহ হলে এগিয়ে গিয়ে দেখি কাটুনের ভিতরে সব সরকারী ইনজেকশন। এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে খবর দিলে তিনি এসে রানা ফার্মেসীর মালিক জয়নাল আবেদীন ও বিনজিরাকে ছেড়ে দিয়ে
ইনজেকশনগুলো পরিষদে নিয়ে যায়।
সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের খবরে রানা ফার্মেসীতে গিয়ে ওই ইনজেকশনগুলো জব্দ করেছি। এগুলো ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বন্টন করে দেয়া হবে। অভিযুক্ত রানা ফার্মেসীর মালিক জয়নাল আবেদীন ও বিনজিরা যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করে তাই তওবা পরিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রানা ফার্মেসীর মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, ওই ঔষধ গুলো তার নয়। তাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো চেষ্টা চলছে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ কাসেম আলী জানান, তিনি পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।