রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার। সরকারের এ সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ নির্দেশনা পালনে প্রথম থেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে একটু বেশী তৎপর ও আন্তরিকতা দেখা গেছে লালমনিরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ। তাদের এই আন্তরিক প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে কালীগঞ্জ উপজেলাবাসীর।
তার দুজনেই দিনরাত সমানতালে ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। জনগণকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিন্ম আয়ের মানুষের খোঁজ-খবর রাখছেন তিনি। হাটবাজারে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও মানুষের মাঝে মাস্ক ও ত্রান বিতরণ করছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে বাইরে বের হওয়া নিষেধাজ্ঞায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কার মধ্যে
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আবু জাফর এর পরামর্শে , দুযোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে, অস্বচ্ছল এবং হতদরিদ্র ১২০ টি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে জরুরি ত্রাণসামগ্রী। তাদের মাঝে বিতারণ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার, ০৫ এপ্রিল বিকালে উপজেলার কাশীরাম বৈরাতী চর নোহালী চর এলাকায় থাকা অস্বচ্ছল ও হতদরিদ্র পরিবারের বাড়িতে বিতরণ করা হয় এসব ত্রাণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, বাইরে বের হতে না পারলে খাদ্যের সংকট দেখা দেবে, দিনমজুর ও ভিক্ষুকদের পরিবারে। তাই ত্রাণ দুর্যোগ শাখার বরাদ্দে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১০ কেজি আলু ও ১ কেজি ডাল এবং ১ লিটার তৈল একটি সবান মিলে একটি প্যাকেট করা হয়েছে। এসব প্যাকেট আজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
ত্রাণ পৌঁছে দেন কালীগঞ্জ ইউএনও রবিউল হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ, এসিল্যান্ড জাহাঙ্গীর আলম,
ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মূর্শিদ হক।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম, প্রমুখ। এ সময় করোনা সংক্রামণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান রবিউল হাসান ও পি আইও।