রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে উড্ডয়ন ও অবতরন করল ফিক্সড উইং বিমান(এল ৪১০) স্বাধিনতার পর প্রথম বারের মত সফল ভাবে ফিক্সড উইং বিমান উড্ডয়ন ও অবতরন করেছে লালমনিরহাট বিমানবন্দরে।
জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি পুরনে বিমানবন্দরটি চালু করতে পরীক্ষামুলক কার্যক্রম চালু করেছে বিমান বাহিনী ভিডিওতে দেখুন।
দেখুন ভিডিও টি লালমনিরহাট থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) দিনভর দুইটি বিমান একাধিক বার সফল ভাবে উড্ডয়ন ও অবতরন করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো না হলেও বুধবার(১৩ মার্চ) এ বন্দর পরিদর্শনে আসবেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়নের এক হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহন করে ১৯৩১ সালে এ বিমান ঘাঁটি তৈরী করেন তৎকালিন ব্রিটিশ সরকার। বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে।
১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি অব্যবহৃত হিসেবে জৌলুস হারাতে বসে। তবে ১৯৫৮ সালে স্বল্পপরিসরে বিমান সার্ভস চালু হলেও তা বেশি দিন আলোর মুখ দেখেনি।
দেশ স্বাধিনের পর এ বিমানবন্দর বিমান বাহিনীর হেডকোয়ারটার করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা পরিত্যাক্ত থেকে যায়। ফলে ৪ কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক, হ্যাঙ্গার, ট্যাক্সিয়ে- এগুলো সবই পরিত্যক্ত থেকে যায়। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে কৃষি প্রকল্প গড়ে তুলে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাসপোর্ট ধারী ভারত, ভুটান ও নেপালের যাত্রীদের আকাশ পথে ঢাকার সাথে যোগাযোগ রাখতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে এ বিমানবন্দর। এ ছাড়াও স্থলবন্দরসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে বিমান বন্দরটি চালু করনে দীর্ঘ দিন দাবি করে আসছে জেলাবাসী।
এ দাবি পুরনে বর্তমান সরকার বিমান বন্দরটি চালু করতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। তাই পরিত্যাক্ত রানওয়েতে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরনে পরীক্ষা করছে বিমান বাহিনীর যশোহ ঘাঁটির একটি টিম। মঙ্গলবার দিনভর দুই ছোট যাত্রীবাহি বিমান কয়েক বার সফল ভাবে উড্ডয়ন ও অবতরন করেছে। সম্ভবতা যাচাই করতে কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সম্ভব্যতা যাচাই করতে বিমান বিহিনীর প্রকৌশলীরা এ রানওয়েতে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরন করে রানওয়ে স্ক্যান করার পাশাপাশি আকাশসীমাও পরিমাপ করেছেন।সম্ভব্যতা যাচাই শেষে এটি চালু করা হবে কি না তা জানা যাবে।
তবে বিমান বাহিনীর প্রধান সরেজমিনে এ বিমানবন্দর পরিদর্শনে বুধবার(১৩ মার্চ) লালমনিরহাট আসবেন। পরিদর্শন শেষে এ বন্দর হয়ে একটি বিমানে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করবেন।
বিমান বাহিনীর এ কর্মকর্তা আরো বলেন, এ বন্দর চালু করতে হলে সীমানা প্রাচিরসহ বেশ কিছু কাজ করতে হবে। তবে চালু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিভিন্ন দফতরে পাঠানো লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর অধিনায়ক স্কোড়ড্রোন লিডার খায়রুল মামুন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানা গেছে, লালমনিরহাট বিমান বন্দরটি চালু করতে সরকারী ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তাই বন্দরটির সম্ভবতা যাচাই করতে ফিক্সড উইং (এল ৪১০) উড্ডয়ন ও অবতরন করতে নিরাপত্তা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ওই পত্রে আরো বলা হয়, বিমান বাহিনীর প্রধান বুধবার(১৩ মার্চ) বন্দরটি পরিদর্শন করে উক্ত বিমানে উড্ডয়ন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।