রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় তিনজন খুন হয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রংপুর নগরী, বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন- নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, বদরগঞ্জ উপজেলার মোহদীপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মতিয়ার রহমান (৩৫) ও মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউপির বাতাসন ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আবদুল্লাহ।
পুলিশ এ এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাতে রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় লুডু খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সাদ্দামের পেটে ছুরিকাঘাত করে বুলবুল এক ব্যক্তি। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদ্দাম।
অপরদিকে বদরগঞ্জ উপজেলার মোহদীপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মতিয়ার রহমানকে কুপিয়ে গুরতর আহত করে তার ভাতিজা। পরে মতিয়াকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান মতিয়া।
এছাড়া, মিঠাপুকুরের ফতেপুর গ্রামে জমিতে মই দেয়া নিয়ে বিরোধে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত হন আবদুল্লাহ। এ সময় আহত হন আরো চারজন। তারা হলেন- আবদুল হামিদ, বুলবুল, রোজিনা ও শাহানা।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, আবদুল্লাহ ৫০ শতক জমি শ্রমিক দিয়ে চাষ করে নেন। এরপর শ্রমিকদের মই দেয়ার জন্য বললে চাচা হানিফ ও তৌহিদুল তাদের জমিতে ওই শ্রমিকদের আগে মই দিতে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে বুধবার সকালে হানিফ ও তৌহিদুলসহ কয়েকজন আবদুল্লাহর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তৌহিদুলের ছেলে সাদেক আলী আবদুল্লাহর মাথায় ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল্লাহকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি। আহত চারজনকে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আবদুল হামিদ মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন- হানিফ, সাদেক, বেলি বেগম, আবদুর রহিম।
রংপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, পৃথক ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।