রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরনের নাটক। ৩ বছর পরে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়লেন শাহজাহান আলী নাহিদ(৪০) নামে এক ব্যাক্তি।
বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারী) দুপুরে আটক ব্যাক্তিকে আদালতে পাঠায় লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
আটক শাহজাহান আলী নাহিদ কালীগঞ্জ উপজেলা কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে। বর্তমানে লালমনিরহাট শহরের হাড়িভাঙ্গা মাজার এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশীর সাথে জমি নিয়ে বিরোধে মামলা হয় শাহজাহান আলীর নাহিদের বিরুদ্ধে। সেই জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আত্নগোপন হন তিনি। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল শাহজাহান আলীর স্ত্রী মতিয়া বেগম দিপা বাদি হয়ে স্বামী নিখোঁজের বিষয়ে সদর থানায় একটি জিডি(৪১৪) দায়ের করেন। এরপর ওই সালের ২৫ এপ্রিল তার বাড়ির পাশে নিখোঁজ শাহজাহান আলীর রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিখোঁজ শাহজাহান আলীর স্ত্রী মতিয়া বেগম দিপা এলাকায় প্রচার করেন তার স্বামীকে প্রতিপক্ষক হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে। যা নিয়ে তৎকালিন কিছু গনমাধ্যমে খরব প্রকাশিত হয়।
শাহজাহান আলী নাহিদ হত্যা হতে পারে এমন ক্লু নিয়ে তদন্তে মাঠে নামে সদর থানা পুলিশ। হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে রস্যজনক মনে হলে জিডি রুপে নথিভুক্ত রেখে তদন্ত চলমান রাখে পুলিশ।
অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার(২৬ জানুয়ারী) দিনগত মধ্যরাতে প্রায় ৩ বছর পর লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় এলাকা থেকে নিখোঁজ শাহজাহান আলী নাহিদকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের শাহজাহান আলী নাহিদ পুলিশকে জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নিজে অপহারনের নাটক করেন। নিখোঁজ জিডি’র বাদি নিজেও জানতেন তার স্বামীর সন্ধান।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শাহজাহান আলী নাহিদ নিজে আত্নগোপনে ছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানী করার দায়ে আটক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।