রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
সাধারণ সময়েই যাদের জোটে না দু’বেলা দু’মুঠো খাবার। আর এখনতো করোনার ছোবলে তারা দিশেহারা। এসব দিশেহারা মানুষের মাঝে গত ১ মাস ধরে খাদ্য সামগ্রী চাল ডাল আলু তৈল আটা বিতরণ করে যাচ্ছেন অনেকটা নীরবে-নিভৃতে। শুধু তাই নয় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক নিয়ে যখন চিন্তিত কৃষকরা। তখনই কৃষকদের পাশে দাড়িয়ে এই ক্রান্তিকালে কৃষকের মুখে হাসি ফুটাচ্ছে।
কখনো বা পান আবার মানুষের অসহায়ত্বের সন্ধান। কেউ হয়তো বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েও টাকার অভাবে চিকিত্সা করাতে পারছেন না, কেউবা আবার সন্তানদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারছেন না। কেউ শীতের বাতাসে হাড় হিম হয়ে পরে থাকেন জড়সড় হয়ে কিংবা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে জর্জরিত হয়ে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন পথে প্রান্তরে। সেখানে দেখা গেছে সব সময় আবু হানিফ চয়ন কে।
আর এসব মানুষের পাশেই সৃষ্টিকর্তার পাঠানো দূতের মতো সাহায্য নিয়ে হাজির হন আবু হানিফ চয়ন। অসহায় মানুষগুলোর হাতে তুলে দেন নগদ অর্থ।
এ ছাড়াও অনেকে আছেন, যাদের ছেলেমেয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না, তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করি। বন্যা কিংবা শীতে অসহায়দের মাঝে খাবার এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এ সকল বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কালীগঞ্জ উপজেলা ও ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় শ্রমিকলীগ রংপুর মহানগর, মো আবু হানিফ চয়ন।
আজ শনিবার সকালে নিজ হাতে করে নিজ গ্রামের অসহায় দিনমজুর যারা এই রমজান মাসে একটু ভাল তরকারি রান্না করতে পারেনি তাদের কে খুজে বেড় করে নিজ হাতে দিচ্ছেন একটা করে মুরগী ও খাদ্য সহায়তা ।। এছাড়া দীর্ঘ এক মাস ধরে করোনার প্রভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাঁদের তালিকা তৈরী করে কখনো বা বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন কখনো বা তার এলাকার স্কুল মাঠে সারি সারি করে বসে খাদ্যসামগ্রী নিজ হাতে বিতারন করে দিচ্ছেন আবু হানিফ চয়ন।।
প্রতিদিনই জেলার ৩নং মদাতী ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু খাদ্য সামগ্রী বিতরণে তাঁর কোন দল নেই। দলমত নির্বিশেষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। ৩ নং ওয়ার্ডের প্রায় ১ হাজার পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন আবু হানিফ চয়ন । আবু হানিফ চয়ন লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ কে বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব মনে করেছি সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি, দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়ার সংগ্রাম। এই সংগ্রামটাই আমি অসহায়দের জন্য করছি।
শুধু খাদ্যসামগ্রীই নয় তিনি অসহায়দের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছেন। নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন করোনার সময়টাতে সুস্থ থাকবার-বাড়িতে থাকবার। এক প্রশ্নের জবাবে আবু হানিফ চয়ন বলেন, এই অসহায়দের পেটে যতোদিন ক্ষুধা আছে ততদিন তাদের পাশে থাকতে চাই। এটাই আমার তৃপ্তি।
অসহায় মানুষগুলো পেটপুরে খাওয়ার পর তৃপ্তির যে হাসিটা দেয়, এটা আমার কাছে কোটি টাকার সম্বল।
আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক হয় তখন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা চাল-ডাল পওয়ার পরে তাদের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটা নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।