রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে শহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১টায় লালমিনরহাট জেলা সম্মেলন কক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
এই তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও ৯ কার্য দিবস সময় নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করল কমিটি।
তদন্তকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ৭টি সভায় মিলিত হয়। কমিটির সদস্যরা ৫০ জন সাক্ষীর প্রকাশ্যে ও গোপনে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেন। ছয়টি অধ্যায় ও ৪২টি অনুচ্ছেদ সংবলিত ৭৩ পাতা সংযুক্তি সহকারে ৬ পাতার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
কমিটি ওই প্রতিবেদনে ঘটনার প্রারম্ভিকতা, ঘটনার বিবরণ, অধিকতর তথ্যানুসন্ধান, গভীর পর্যবেক্ষণসহ সুপারিশ প্রদান করেছে বলে কমিটির প্রধান লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিন সাংবাদিকদের জানান।
এ সময় কমিটির অপর দুই সদস্য লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও ললমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের উপ-পরিচালক সহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর প্রতিবেদন গ্রহণের পর সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সেখানে কোনো কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেনি।’
তবে প্রতিবেদনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক।
এদিকে বুড়িমারীর এই ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচাত ভাই সাইফুল আলম বাদী হয়ে হত্যা মামলা, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা দান ও পুলিশের উপর হামলা এবং বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর মামলায় ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।
এখন পর্যন্ত ৩টি মামলায় মোট ৩২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩২ আসামির মধ্যে মসজিদের খাদেমসহ ৩ জন ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজারের বাসকল এলাকায় ওই ব্যাক্তিকে হত্যা করা হয়।