লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত শাপলা সমবায় সমিতির ২৫০০ গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয় প্রায় ২ বছরের বেশি সময়।এতদিনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সমবায় অফিসার ফজলে এলাহি।উল্টো সংবাদ প্রকাশের পর তিনি মনিটরিং অফিসার নিয়োগের কথা বলেন।
এদিকে সমস্যদের কাছে আবেদন চান সমবায় অফিসার।আবেদন নিয়ে মাসের পর মাস গ্রাহকদে ঘুরিয়েছেন।অপর দিকে আলোচনা করেছেন শাপলা সময়বায় সমিতির সাথে।শেষ অবদি তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন’বৃহস্পতিবারের পরে লেখেন,আমার আইনি হাতটা একটু শক্ত হোক।”
এদিকে একাধিক গ্রাহক সিরাজ বলেন,আমার মায়ের ক্যানসার।আমার টাকাটা অনেক দিন ঘুরিয়েছে সমবায় অফিসার।আজকে টাকা দিবেনই,এমন বলেছেন।কিন্তু আজকে ফোন করাতে তিনি সুর পাল্টিয়েছেন।
একাধিক গ্রাহক বলেন,মাঝে মাঝে তাদেরকে ফোন করে আশ্বাস দেয়া হতো।
জেলা সমবায় কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন সরকার বলেন,শাপলা সমবায়ের বিষয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।তিনি এগুলো দেখছেন।
এদিকে শাপলা সমবায়ের সভাপতি সামসুল আলম বলেন,আমরা সময়বায়ে সাথে একাধিক দিন বসে মিটিং করেছি।মাঠে আমার টাকা পড়ে আছে।তারা সহোযোগীতার কথা তো মুখেই বলে,মাঠে তো আমার কোনো কর্মী যেতে পারেনি।এ পর্যন্ত ৭৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছি।সমবায় অফিসার ফজলে এলাহী আমাদের কাছে কোনো সমস্যের কথা বলেন নি।যা ফেরৎ দিয়েছি,পথে ঘাটে আমরাই ফেরৎ দিয়েছি।
আদিতমারী উপজেলা সমবায় কর্মকর্কা ফজলে এলাহী লেবু বলেন,আমি বিভাগীয় কমিশনার অফিসে মিটিং করছি।এসময় তাকে শাপলার বিষয়ে জানতে চাইলি তিনি বলেন,তাদের কোনো লাইভলাইটিস আমাদের নাই।আবার বলেন,মামলা করতেছি।লাইভলাইটিস না থাকলে মামলা করবেন কেনো? উত্তরে তিনি বলেন,আমার কাগজ পত্র সংগ্রহ করছি। এরমক তিনি একেরপর এক,উত্তর পাল্টাতে থাকেন।