লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চামটাহাটের সাব-ইজারাদার হোসেন আলীর বিরুদ্ধে জোর করে অতিরিক্ত টোল দাবী করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে নিউ নিরোদা সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী বিশ্বনাথ রায় ওই হোসেন আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিশ্বনাথ রায় দীর্ঘদিন ধরে মদাতী ইউনিয়নে অবস্থিত চামটাহাটে বাই সাইকেলের একটি শোরুম দিয়ে ব্যবসা করছেন এবং নিয়মঅনুযায়ী হাটের টোলও পরিশোধ করছেন এমতাবস্থায় গত বুধবার (২১ শে সেপ্টেম্বর) বিকেলে হলদিবাড়ি এলাকা থেকে আসা রহিম মিয়া নামে এক ক্রেতার নিকট তার শোরুম থেকে একটি বাই সাইকেল বিক্রয় করেন।
সাইকেল নিয়ে ওই ক্রেতা শোরুম থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পথে সাইকেলহাটের সাব-ইজারাদার হোসেন আলী সাইকেলটি আটক করে টোল দাবী করেন। টোল দিতে অস্বীকার করায় সাইকেলটি কেড়ে নিয়ে রেখে দেন হোসেন আলী।
অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, হাট-বাজারে সাব -ইজারা দেয়ার সরকারি কোন নিয়ম না থাকলেও সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে সাব-ইজারা দিয়েছেন চামটাহাটের মূল ইজারাদার হুমায়ন কবির মিন্টু।
শুধু তাই নয়, নিয়ম না মেনে টোল আদায় করা হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছে। নিয়ম অনুসারে হাটে টোল চাট থাকার কথা থাকলেও চামটাহাটের কোন স্থানে দেখা যায়নি টোল চাট।
অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে হাটের মূল ইজারাদার হুমায়ন কবির মিন্টুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে নিউ নিরোদা সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী বিশ্ননাথ রায় বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর সাব-ইজারাদার হোসেন আলী আমার শোরুম থেকে বিক্রি করা সাইকেল ক্রেতার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে অতিরিক্ত টোল দাবী করে। আমি নিয়মঅনুযায়ী হাটের টোল নিয়মিত পরিশোধ করার পরও সাব-ইজারাদার অন্যায়ভাবে আমার গ্রাহকের নিকট টোল দাবী করে। আমি হিন্দু মানুষ বলেই এটা করার সাহস পাচ্ছে । আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আঃ মান্নান বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের কোন নিয়ম নেই এ বিষয় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্যঃ চলতি বছরের ১২ মে উপজেলার তালুক বানীনগর এলাকার ফরিদুল নামের এক ক্রেতা অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করার পরও আজও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।