রাহেবুল ইসলাম টিটুল নিজস্ব প্রতিবেদক,
একবিংশ শতাদ্বীর সব কাজেই মানুষ যাত্রিক নির্ভর হয়ে উঠলেও তিস্তার নানা কাজে এখনও মহিষের কদর কমেনি তেমনি দেখা যাচ্ছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ তিস্তার চর অঞ্চলে। মাঠে মাঠে পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টারে জমি চাষ বাস চলছে এখন নিয়মিত। হাল চাষের গরু আর দেখা যায় না। কিন্তু এখনও নানান কাজে চোখে পড়ে মহিষের ব্যাবহার। তিস্তান বুক চিরে উচু নিচু পাকা কাচা রাস্তা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু নিভৃত অনেক গ্রামই রয়েছে যেখানে যাত্রিক যানবাহনে কৃষকের উৎপদিত বিভিন্ন সামগ্রি পরিবহন সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়েই কৃষক ব্যবহার করছে মহিষের গাড়ি।
তিস্তান সব এলাকায় দেখা যাচ্ছে এসব গাড়িতে হাট বাজারে বিক্রির জন্য ধান নিয়ে আসছে কৃষকরা। এছাড়াও কৃষকের মাঠ থেকে ধান কেটে মহিষের গাড়ি যোগে বাড়ির আঙ্গিনায় পৌছানোর কাজ তো চলে আসছে আদ্যিকাল থেকে। বর্তমান মাঠ থেকে ধান, ভুট্রা , রসুন, পিয়াজ, তরমুজ এবং ক্ষিরা মাঠ থেকে মহিষের গাড়ি যোগেই পাকা রাস্তায় অথবা মোকামে পৌছানো হচ্ছে।
বিলের প্রায় গ্রামেই রয়েছে মহিষের ব্যবহার।এছাড়াও যান্ত্রিক চাষ বাস জমির মাটি সমান করে রোপন যোগ্য করতে ব্যবহার করা হচ্ছে মহিষ। ইরি-বোরো মৌসুমে চাষ করা কাদা মাটি সমান করতে মহিষের ব্যবহারই উপযুক্ত বলে কৃষকদের সাথে আলাপ করলে যানায়।
প্রতি বিঘা জমির সমান করতে মহিষের মালিকরা পারিশ্রমিক পায় ৬০ টাকা থেকে ১শ টাকা । এ কাজ করে এক জোড়া মহিষের মালিক প্রতিদিন আয় করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত । আগে মহিষের গড়িতে গ্রাম্য বধুরা নায়োরে যেত এবং বিয়ে সাদিও চলত মহিষের গাড়িতে।
কিন্তু এখন সচারচর তা আর চোখে পড়ে না। কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করলে জানান, মহিষের ব্যবহারে মাটি সমান করার বিকল্প এখনও কৃষকের নাগালে আসেনি। তারাও স্বীকার করেন মহিষের বিকল্প মহিষই।