ঢাকাFriday , 12 January 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

কয়েক দিন থেকে সুর্যের দেখা মিলছে না, তীব্র শীতে তিস্তা পাড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত

TITUL ISLAM
January 12, 2024 1:48 pm
Link Copied!

রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট 

গত কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলা সহ উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকো চরমে, গত ৮ জানুয়ারি থেকে স‚র্যের দেখা মিলছে না।
তীব্র শীতে তিস্তার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে অবস্থায় হতদরিদ্র ও ছিন্নম‚ল মানুষসহ গবাদি পশু। বেশি দুর্ভোগে আছেন তিস্তা চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষজন।

শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। শ্রমজীবীরা কাজে যোগদান না করতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে কনকনে শৈত্যপ্রবাহ,একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তর জনপদ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুধু রাহেলা বেগমই নয়, হাড়কাঁপানো এই শীতে গরম কাপড় না থাকায় কষ্ট পাচ্ছেন দরিদ্র ও অক্ষম মানুষ। গরম কাপড় কেনার সাধ্য নেই তাঁদের। হাত পেতে দু-একটা কাপড় পাওয়া গেলেও মিলছে না শীত নিবারণের কাপড়।

ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। হিমেল হাওয়া, তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন একরকম অচল হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাটের তিস্তার চর কাশিরাম বৈরাতী,নেহালি এলাকার আব্দুল মান্নান জানান, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না।

এবার শীতে কম্বল কম বিতরণের বিষয়টি নজরে এসেছে স্থানীয়দেরও। তাঁরা জানান, এবার শীত বেশি হলেও কম্বল বিতরণ চোখে পড়ছে না।

তবে এই কনকনে ঠান্ডায় কয়েকদিনে এই উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি, উপজেলা প্রশাসন, সহ  কোন প্রকারের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।

গত কয়েকদিন যাবত ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে, এর আগে কয়েকদিন ঠান্ডা একটু কম ছিল আমরা কাজে যেতে পেরেছি তবে গত মঙ্গলবার থেকে প্রচুর বাতাস আর কুয়াশা পরছে। তাই আমরা কাজে যোগ দিতে পারছি না।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কম হওয়ায় উত্তরাঞ্চলে বেশি ঠান্ডা অনুভ‚ত হচ্ছে।

দিনের বেলা স‚র্যের দেখা না মেলায় সন্ধ্যায় তাপমাত্রা আরো কমে যাচ্ছে। ফলে সন্ধ্যার পরে আরো বেশি শীত অনুভ‚ত হচ্ছে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগী সংখ্যা বেড়ে গেছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। আগামী দিনগুলোতে আমরা আরো শীতবস্ত্র বিতরণ করব।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।