রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।
সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা নেই লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা এসব রোগীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।
গত বৃহস্পতিবার কাশিরাম মুনসীর বাজার থেকে আসা লিমন মিয়ার পরিবার জানান আমরা রোগী নিয়ে এসে দেখি এখানে কোন
ভ্যাকসিন নেই তাই বাধ্য হয়ে শহরে যেতে হয়েছে।
কেউ আবার বাধ্য হয়ে বেদে বা ওঝাদের শ্মরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে সাপে কাটা রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে এ উপজেলায়।
এছাড়া হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীদের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকও নেই। এতে ঠিকমত চিকিৎসা সেবাও পাচ্ছেন না এখানকার রোগীরা।
উপজেলাটিতে ৪ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে এ হাসপাতালগুলো প্রতিষ্ঠা হলেও সাপে কাটা রোগীদের ভ্যাকসিন সংকটে চিকিৎসাসেবাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটতে হচ্ছে শহরে।
অন্য রোগীর চেয়ে সাপে কাটা রোগীদের সংখ্যা কম হলেও খুব শিগগিরই হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন।
তিনি বলেন, বিষধর সাপ না হলে রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে চিকিৎসকগণ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং অজারভেশন করে থাকেন। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।
উপজেলার এই ৫০ শয্যার হাসপাতালে টিতে বিভিন্ন ভ্যাকসিন থাকলেও সাপে কাটা রোগীর
নেই কোনো ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না থাকায় ওইসব এলাকার রোগীরা চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছেন। তবে জেলা সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার রায় বলেন, জনবলের সীমবদ্ধতা নিয়ে উপজেলার মানুষের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। আমাদের হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে সাপে কাটা রোগীর ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। যদি সাপে কাটা রোগী আসে তাহলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাদের রেফার করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।