ঢাকাSunday , 22 October 2023
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালীগঞ্জে সমাজসেবার প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাগ্য বদলেছে দীনেশের

TITUL ISLAM
October 22, 2023 4:20 pm
Link Copied!

রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়। এ উপজেলায় প্রান্তিকের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এক হাজার ১০০ জন মানুষের জীবনমান পাল্টে গেছে। প্রশিক্ষণ শেষে এককালীন ১৮ হাজার টাকা পেয়ে এবং কেউ কেউ সমাজসেবার অধীনে ঋণ নিয়ে স্তিমিত জীবনের চাকায় যেন নতুন গতি পেয়েছেন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলেও আবহমানকাল থেকেই এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর হিসেবে পরিচিত। অথচ প্রাচীন বাংলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এদের মাধ্যমে পরিচালিত। দৈনন্দিন জীবন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ সর্বত্রই এরা বিরাজমান। বংশ পরম্পরায় তারা পেশাটি ধারণ করে নিজের জীবন-জীবিকা পরিচালনা করছে।

বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে এসব সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে দিন দিন। প্রতিযোগিতায় হারার সঙ্গে তারা তাদের আর্থিক উৎস থেকে ছিটকে পড়ছে, যার ফলে কর্মক্ষম মানুষগুলো দিন দিন বেকার হয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তির সংস্পর্শে এনে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এদের বংশগত পেশাকে আধুনিকায়ন করে বেকারত্ব দূর করার কাজটিই করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়গুলো।

তা ছাড়া প্রযুক্তিগত অন্য কোনো পেশায় প্রশিক্ষিত করে তাদের কর্মসংস্থানের অন্তর্ভুক্ত করতে হাতে-কলমে শেখাচ্ছে সমাজসেবা অফিস।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলতে কামার, কুমার, নাপিত, বাঁশ ও বেত প্রস্তুতকারক, কাঁসা/পিতল প্রস্তুতকারী এবং জুতা মেরামত/প্রস্তুতকারী ইত্যাদি পেশা ধারণ করে যেসব পরিবার বংশ পরম্পরায় জীবিকা নির্বাহ করছে, তাদের বোঝানো হয়।

পালপাড়ার কুমারপল্লিতে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপূজার বিভিন্ন মেলায় মাটির কারুপণ্য তৈরিতে ব্যস্ত তারা।

পালপাড়ার দীনেশ পাল বলেন, ‘আমরা তো মাটির জিনিসপত্র তৈরি করাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম, কিন্তু কালীগঞ্জ সমাজসেবা অফিসার আমাদের তিন ভাইকেসহ অনেক লোককে ট্রেনিং করায়। আর ট্রেনিং শেষে আমাদের এককালীন ১৮ হাজার টাকা ও ট্রেনিংয়ে যাতায়াত বাবদ ৫ হাজারসহ মোট ২৩ হাজার করে টাকা দিলে আমরা আগ্রহী হয়ে আবারও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। ১৮ হাজার টাকা কিছু না হলেও আমাদের কিছু জোগাড় করা অর্থ দিয়ে পূজার মেলাতে অনেক জিনিস তৈরি করেছি।

‘আশা করি ভালো ব্যবসা হবে আমাদের। তা ছাড়া জিনিসপত্র যে দাম তাতে পোষায় না। সমাজসেবা থেকে সহজ শর্তে ঋণ নেয়ারও চেষ্টা করছি। এ পেশা তো আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্য। তাই আমাদের ধরে তো রাখাই লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব পণ্য আমরা অনেক দূর থেকে নিয়ে আসি ট্রাকে করে। সে কারণে অনেক খরচ পড়ে যায়। তাই সরকার যদি আমাদের আরও সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা অনেক ভালোভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারব।’

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ছয় শ্রেণির মানুষ ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের বিভিন্ন সময়ে ট্রেনিং করিয়ে এককালীন ১৮ হাজার টাকা দেয়া হয়, যা দিয়ে তারা নতুন উদ্যমে কাজ করতে আগ্রহী হয়। আমরা কয়েকটি অর্থবছরে ১ হাজার ১০০ জনকে ট্রেনিং দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের মধ্যে কামার, কুমার, ধোপা, বাঁশ ও বেত, নরসুন্দর এবং কাঁসা/পিতল প্রস্তুতকারী মোট ছয় শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে ট্রেনিং করানো হয়। এ ছাড়াও অনেককে সহজ শর্তে ঋণ দিয়েও সহযোগিতা করা হয়। যা দিয়ে তারা তাদের পুঁজি জোগান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।’

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।