লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটে বুড়িমারী স্থল বন্দরে শ্রমিক ও সর্দারের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, রাবার বুলেট নিক্ষেপ,সাংবাদিকসহ আহত ১২ জন আহত হয়েছে। এসময় বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই গ্রুপের উত্তেজনার থামাতে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২সেপ্টম্বর) বিকেল ৩টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাওনা টাকা নিয়ে লোড-আনলোড শ্রমিক ও সর্দারদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুরতর আহত ১০ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সকাল থেকে বিরাজ করা উত্তেজনা বিকেল তিনটার দিকে সংঘর্ষে রূপ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিক ও সর্দার মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এশিয়ান টেলিভিশনের পাটগ্রাম প্রতিনিধি এমএ কামালের উপরে শ্রমিকরা হামলা চালায়। এসময় আহত এমএ কামাল কে পাটগ্রাম কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, বুড়িমারীর কলাবাগান এলাকার আসাদুজ্জামান(২৫), পন্ডিতপাড়ার জামিয়াল(৫৬), তেলিপাড়ার মো. বাবুল(৪৫), ব্যাঙকান্দার ফাতানুর(৪০), মধ্য খিলাপুরের মো. নুরনবী(২৩), বামনদলের আলী হোসেন(২৫), কইল্লাটারির মো. সুমন(২০),টোসা শেখ(৪০), গুচ্ছগ্রামের শরিফ উদ্দিন (৩০)ও মনিজুল(২৩), লিটন (৩০)এবং এশিয়ান টিভির পাটগ্রাম প্রতিনিধি এম এ কামাল(৪০)।
জানা গেছে, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি নিয়ে শ্রমিক সর্দারদের বিরোধের জেরে গত সোমবার উত্তেজনা ও মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। পরে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ১৬ সেপ্টম্ব তারিখের পর বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পাটগ্রামের ইউএনও নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে দুপুর ১২টা থেকে তাঁকে উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ অফিসে অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
এই অবস্থায় বিকাল তিনটার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঠা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে এক সাংবাদিকসহ অন্তত ১২ শ্রমিক আহত হন। আহতদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে ১০ জনকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সংঘর্ষের কারণে পাটগ্রাম-বুড়িমারী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়লেও মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আছে উভয় পক্ষ। ঘটনাস্থলে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত শ্রমিক লিটন মিয়া বলেন,পাওনা টাকা আদায়ের সর্দার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ পুলিশ বাধা দেয় এবং টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেন।
এতে শ্রমিকের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নিরব বলেন, আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও গুরু তরফের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। দুই থেকে তিনজন বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন,বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।