লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার
সাত প্রতিবন্ধি পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তরুণ ব্যবসায়ী মমতাজ আলী শান্ত।
শুক্রবার(২৩ জুন) বিকেলে সাত প্রতিবন্ধির জন্য ঈদের কোরবানির পশুসহ উপহার নিয়ে পরিবারটি পাশে দাঁড়ান এ তরুন ব্যবসায়ী।
প্রতিবন্ধি সাতজন হচ্ছেন, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী সাংকাচওড়া গ্রামে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি এন্তাজুল হক(৪৮), তার ছেলে নুরন নবী(২৬), নুর আলম(২৪), লিমন ইসলাম (২২), মেয়ে রেশমার (১৩), দুই ছেলের স্ত্রীরাও শ্রবন ও মানসিক প্রতিবন্ধি এবং বড় ছেলের শ্বাশুরীও দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। সবাই একই পরিবারে বসবাস করেন। পরিবারটি চলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি নুরন নবীর দোতারার গানের সামান্য আয়ে।
“এক পরিবারে সাত প্রতিবন্ধি, দোতারায় চলে সংসার” শিরোনামে গত ২৮ মার্চ বিভিন্ন পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত। প্রতিবেদনটি দেখে পরিবারটির পাশে দাড়ান কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকার তরুন ব্যবসায়ী মমতাজ আলী শান্ত। শুক্রবার বিকেলে আসন্ন ঈদ উল আযাহার কোরবানীর পশু একটি ছাগল এবং পরিবারটি সকল সদস্যের জন্য নতুন পোশাক নিয়ে সাত প্রতিবন্ধির বাড়িতে হাজির হন তিনি।
সাত প্রতিবন্ধির এ সংসারের আয়ের একমাত্র পথ নুরন নবীর গাণের দোরাতারাটিও নষ্ট। সেটির পরিবর্তে নতুন দোতারাসহ গান পরিবেশনের যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র প্রদানের আশ্বাস দেন তরুন ব্যবসায়ী। একই সাথে পরিবারটির পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ সদস্য(কালীগঞ্জ) মোজাম্মেল হক, দুর্গাপুর ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত সদস্যা লাভলী বেগম, দুর্গাপুর ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টার মাহমুদুল হাসান জুয়েল প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানান, জন্মলগ্ন থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এন্তাজুল হক। তার স্ত্রীর নাম নুরজাহান বেগম। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ, যে কারণের আগে তার সহায়তাতেই পরিচালিত হতো এন্তাজুলের সংসার। একপর্যায়ে সংসারে তাদের প্রথম সন্তান নুরন নবীর জন্ম হয়। কিন্তু সন্তানটি বাবার মতোই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়। এর দুই বছর পর দ্বিতীয় সন্তান নুর আলম (২৪) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়। একইভাবে তৃতীয় সন্তান লিমন ইসলাম (২২) ও চতুর্থ সন্তান রেশমার (১৩) জন্ম নেয়। তারাও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে।
এভাবেই পরিবারটিতে নতুন চারজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জন্ম হয়। বাবা-মাসহ পরিবারটির ছয়জ