উপহারের ঘর জোটেনি এক অসহায় ভূমিহীন দিন মজুর সফিয়া বেগম (৫৫) কপালে। তাইতো
পলিথিনের ঘেরা আর ছেড়া কাপড় দিয়ে ঘেরা বেড়ার ঘরে মানসিক রোগী ( মাথা খারাপ) স্বামী কে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে।
সফিয়া বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা গেছে, দুই ছেলে সফিয়ার, স্বামী মানসিক রোগী, থাকার মত ৫ শতক খাস জমিতে বসবাস ও অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন সফিয়া। কিন্তু দুই ছেলে থাকার পরে ও কেউ তাদের দেখা শুনা বা খোঁজ খবর করে না -তারা স্ত্রী সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়ি ও খায়, সব কষ্টের বোঝা যেন সফিয়ার মাথায় একদিকে খাওয়ার কষ্ট, অন্যদিকে পিলিথিন আর ছেড়া কাপড় দিয়ে ঘেরা বেড়ার ঘরে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে দুজনার।
সুফিয়া বেগম বলেন, জরাজীর্ণ ভাঙা ঘরে বসাবস করি। আমার স্বামীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। শীতের দিনে কুয়াশার পানিতেই ভিজে যায় কাঁথা, বালিশ, মশারি। বৃষ্টির দিনে তো কোনো কথাই নেই।
জরাজীর্ণ ঘর দিয়ে দেখা যায় পুরো আকাশ। আমি টাকা দিতে পারি না বলে আমার ঘর হয় না। কত মানুষের কাছে গিয়েছি একটা ঘর পাওয়ার জন্য, কিন্তু সবাই বলে খরচের টাকা লাগবে? কই পাব বাবা আমি টাকা।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে দেখার মতো যে দুই ছেলে আছে তারা কেউ দেখে না। কোনো রকমে মাথা খারাপ, স্বামী কে নিয়ে একটু দেখে, চলি।
সরকারিভাবে যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করতো, তাহলে খাই আর না খাই শান্তিতে ঘুমাইতে পারতাম।
স্থানীয় ইসমাইল হোসেন বলেন, তার দুনিয়ায় আপন বলতে কেউ নেই। হিসেবে অনুযায়ী সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার কথা তার। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই তাকে যেন থাকার একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদ বলেন, তার বিষয়ে একটু শুনেছি দেখি খোঁজ খবর নিয়ে কোন একটা ব্যবস্থা করা যায় কি না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, তার যদি থাকার ঘর না থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই তাকে ব্যবস্থা করে দেব।