কালীগঞ্জ(লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ছোট ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় আসামী বড় ভাই কে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
ছেড়ে দেয়া ওই আসামির নাম ওয়াজেদ আলী, সে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল হক মুন্সীর ছেলে।
সোমবার ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১ টার দিকে ওয়াজেদ আলীকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গত ৯ মার্চ আমিনুর ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নিলে বাদী আমিনুর ইসলাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদী আমিনুর ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কালীগঞ্জ থানার এসআই সহিদুল ইসলাম ১০ হাজার টাকা নেয়ার পরে আসামীকে গ্রেফতার করেন। আমার টাকা নিয়ে গ্রেফতার করে আসামীকে থানা থেকে ৩ ঘন্টা পর ছেড়ে দেন ওসি।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে আমিনুর ইসলাম (৪৫) এর সাথে তার আপন বড় ভাই ওয়াজেদ আলীর দীর্ঘদিন হইতে বিরোধ চলছিল।
এরই এক পর্যায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ওয়াজেদ আলী তার লোকজন নিয়ে আমিনুরের বাড়ীতে লাঠি সোটা নিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায় এসময় ওয়াজেদ আলীর হাতে থাকা দা দিয়ে আমিনুরের স্ত্রী মোহছেনা বেগমকে কোপ মারলে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।
এসময় আরও জখম হয় মাশরাফিসহ বাদী নিজেই। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাদেও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। যাহার ভর্তি রেজি নং— আমিনুর ইসলাম ভর্তি রেজি নং—২০৪৭/১৮,বেড নং—০৭,বাদীর স্ত্রী মোহছেনা বেগমের বেড নং—২০২৫/৩৬, বেড নং এক্সট্রা—২০, জখমী মাশরাফির ভর্তি রেজি নং—২০২৬/৩৭ বেড নং এক্সট্রা—০৮ সকলের ভর্তি তারিখ ২৬/০২/২০২৩ইং।
এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুলের মোবাইল ফোনে যোগা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।