রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও বেশি লাভের আশায় তামাক চাষে ঝুঁকছেন লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা
চরাঞ্চলের চাষিরা।
তবে, কৃষকদের সচেতন করতে কাজ করছেন বলে দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের। উর্বর জমিতে ছেয়ে আছে সবুজ-সতেজ তামাক পাতায়।
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী কাশিরাম বৈরাতী, হাজির হাট, আমিনগঞ্জ সহ
উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় নিয়মিত চাষ হচ্ছে এই বিষ পাতার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সিগারেট কোম্পানির তৎপরতায় কৃষকরাও ঝুঁকছেন তামাক চাষে।
বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানির তৎপরতায় ও কৃষকদের অগ্রিম টাকা এবং চাষে উদ্বুদ্ধ করছে জানিয়ে স্থানীয় কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে মাত্র ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করেই তাদের লাভ থাকে অর্ধ লাখেরও বেশি।
বাড়ির আঙিনা থেকেই পাতা নিয়ে যান কোম্পানির প্রতিনিধিরা। স্থানীয় একজন বলেন, এখানে বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানির এজেন্টরা উঁচু তলার মানুষ, তারা এসে কৃষকদের অগ্রিম টাকা দিয়ে চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। কিন্তু কৃষক বুঝতে পারছে না তারা কোন ক্ষতির দিকে যাচ্ছে।
একটি তামাক পাতা ১০-১৫ টাকা বিক্রি করা হয় জানিয়ে স্থানীয় আরেক কৃষক বলেন, ধানের আবাদ থেকে আমাদের লাভ বেশি হয়। তাই আমরা তামার থেকে ধানের আবাদ কেন করব। যদিও তামাক চাষ বন্ধে প্রণোদনাসহ নানান উদ্যোগের কথা জানালেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন,
বলেন, আমরা তাদের তালিকা তৈরি করে তাদের মাঝখানে কৃষি প্রণোদনা পুনর্বাসনের বীজ সার আছে এগুলো বিতরণ করেছি। আমাদের তাদেরকে অন্যান্য কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করার।
উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে উঠোন বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, এ উপজেলায় কৃষি জমির পরিমান ১৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমি। তবে কৃষি অফিসের তথ্য মতে বলছে এক হাজর দশ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে।
অন্য দিকে বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে, এই উপজেলার তিনের এক ভাগ জমিতে
তামাকের চাষ হচ্ছে বলে দাবি তাদের।