ঢাকাWednesday , 16 November 2022
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিশ্বমন্দায় শ্লথ বুড়িমারী স্থলবন্দর

TITUL ISLAM
November 16, 2022 5:28 pm
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক। 

বর্তমানে ভারত আর ভুটান থেকে এলসির মাধ্যমে যে পণ্য আসছে তাতে সীমিত লাভ হচ্ছে: লিটন মিয়া, সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী

গেল পাঁচ মাস ধরে ডলারের দাম উঠানামা করায় অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন: বিল্লাল হোসেন, ডেপুটি কমিশনার, বুড়িমারী স্থলবন্দর

ভারত থেকে সীমিত পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে: গিয়াস উদ্দিন, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) বুড়িমারী স্থলবন্দর 

বিশ্বমন্দার প্রভাব পড়ছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে। কমে গেছে আমদানি রপ্তানি। শুল্ক ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও ডলার সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বন্দর। ফলে রাজস্ব আয় কমতে শুরু করেছে। গত মাস ৫ মাস ধরে ভাটা পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের ব্যবসা বাণিজ্যের আগের সেই চিত্র আর নেই। গুটিকয়েক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ভুট্টা, চুনাপাথরসহ বিভিন্ন মালামাল ভারত ও ভুটান থেকে পণ্য আমদানি করছেন। বিশাল এলাকা জুড়ে বন্দরের মাঠঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ে আছে। চোখে পড়ছে কিছু ব্যবসায়ী ভারত থেকে পাথর এনে মেশিনের সাহায্যে ভেঙে তা প্রতি সিএফটি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।

এদিকে, ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে দেশে আসছে ভুট্টা। বন্দরেই তা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা দরে। তাছাড়া ভারত থেকে ট্রাক বাংলাদেশ কম প্রবেশ করায় অনেক শ্রমিক ইয়ার্ডের পাশে বসেই সময় পার করছেন। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্যের এলসি নিচ্ছেন না। এতে স্থলবন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য কমতে শুরু করছে।

হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী ভারত থেকে ভুট্টা, চুনাপাথর, গমের ভুসি, ডলোমাইস পাথর, খৈল আমদানি করছেন। বিপরীত দিকে, দেশ থেকে যে পণ্যগুলো ভারত, ভুটান ও নেপালে যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তুলা, পাট, কাপড়, লোহার গুঁড়া ও প্রাণ গ্রুপের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী।

বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত তিন অর্থবছর থেকে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় হচ্ছে না। দফায় দফায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। ডলারের মূল্য স্থিতিশীল না হওয়ায় ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে সাহস পাচ্ছেন না তারা। বর্তমানে বেশি করে ভুট্টা, পাথর আমদানি করলেই লোকসানের মুখে পড়ছেন। লোকসানের ভয়ে তারা পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।

পাশাপাশি কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের দাবি বুড়িমারী স্থলবন্দরের সক্ষমতা ও আয়তন কম, দেশের প্রয়োজনে শুল্কমুক্ত সুবিধায় খাদ্যশস্য আমদানি ও করোনাভাইরাসের প্রভাবে রাজস্ব আয় কমেছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্থলবন্দরে কাজ কাম পাওয়া দুষ্কর হয়েছে। গত ছয় মাস আগে ভারত থেকে বাংলাদেশের ট্রাক প্রচুর পরিমাণ প্রবেশ করে। অথচ বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য ভাটা পড়েছে। আগের মতো আর কাজ কাম নাই।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী বকুল হোসেন বলেন, বিশ্বের মন্দার প্রভাব পড়েছে বুড়িমারী স্থল বন্দরে। ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি রপ্তানি করতে পারছেন না। বিশ্ব মন্দা কেটে গেলে আবারও পুরো দমে চালু হবে বন্দরের আমদানি রপ্তানির কার্যক্রম।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, বর্তমানে ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়ীদের সাথে ব্যবসা করে পোষাচ্ছে না। এলসির মাধ্যমে যে পরিমাণে মাল আসছে তাতে সীমিত লাভ হচ্ছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ডেপুটি কমিশনার বিল্লাল হোসেন বলেন, গত পাঁচ মাস ধরে ডলারের দাম উঠানামা করায় অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। স্থলবন্দরে কিছু ব্যবসায়ী বর্তমানে ভুট্টা, চুনাপাথর,গমের ভুসি, খৈল, ডলো মাইন্ড পাথর আমদানি করছেন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ভারত থেকে সীমিত পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বুধবার ভুটানের একটি প্রতিনিধি দল বুড়িমারী স্থল বন্দর ও রেলপথ পরিদর্শনে আসবেন। এতে বাংলাদেশও ভুটানের সাথে আরো সম্পর্কের জোরদার হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গেল অর্থবছরে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস্) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৩৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আয় হয় ৯১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ কোটি ৯০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা কম আয় হয়েছে।

তারও আগের অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আয় হয় ১১১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা কম আদায় হয়েছে।

তাছাড়া ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৪ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আদায় হয় ৫৬ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। কম রাজস্ব আয় হয় ৪৮ কোটি ৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।