রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
কালীগঞ্জ থানায় আসার তিন মাসের মধ্যে কমতে শুরু করেছে মাদক! এখন আর সেভাবে মাদক সেবীদের চোখে পরে না। যার ভয়ে মাদক ব্যবসায়ী ভয়ে কাপত। প্রতিটা এলাকায় আর সেভাবে তাদেরকে আর চোখে পরে না যদি ও পরে সেটি আসামী পরিচয়ে ছবিতে তার পরিচিতি।
পুলিশ জনগণের বন্ধু এ নীতি কথার যথার্থটি অনেকের মাঝে নেতিবাচক প্রভাবও আছে।
সকল পুলিশ অফিসার ও সিপাহীদের বিরুদ্ধে এ নেতিবাচক প্রবাদের ধারণা জনগণের মাঝে লালনও হয়ে থাকে সহ পাটিদের নিয়ে এক সাথে সুপরামর্শ ।
এটি একেবারে উড়ে দেয়াও যায়না। তবে পুলিশ যে জনগনের বন্ধু, তা সকল পুলিশ অফিসারের পক্ষে অর্জন কাল্পনিক বললেই অত্যুক্তি হবেনা।
তবে পুলিশ যে জনগণের বন্ধু একথাটি সত্য প্রমান করা এক চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার নাম
কালীগঞ্জে থানার ওসি এটি এম গোলাম রসুল।
যিনি ২০০১ সালের ১৯ মে সরাসরি ক্যাডেট এসআই হিসেবে যোগদান করেন।যোগদানের পরে তিনি র্যাব,পিবিআই,ডিআইজি অফিস, হবিগঞ্জ,ঢাকা,নীলফামারী সহ দিনাজপুর জেলার বিরল থানার ওসি,দিনাজপুর ডিবির ওসি হিসেবেও সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।চাকুরী জীবনে তিনি প্রশংসনীয় ও সাহসীকতাপূর্ণ কাজের জন্য একাধিক পুরষ্কারসহ আইজিপি ব্যাজ এবং শ্রেষ্ঠ ওসির পুরষ্কার ও লাভ করেছেন।
তিনি ছাত্রজীবনেও ফুটবল, ক্রিকেট এর ক্যাপ্টেন পদে থেকে দল পরিচালনা করেছেন।তিনি একজন সেরা দৌড়বিদও বটে।চাকুরী জীবনেও তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহন করেছেন।তিনি দাবা প্রতিযোগিতায়ও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।এমন কি শিশু নিকেতন স্কুল,রংপুরে প্রথম শ্রেণীতে পড়াকালীন বিস্কুট দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর শুরু হয় অপরাধ নির্মুলের কারিশমা।
বিভিন্ন যায়গায় ঢাকা,নীলফামারী সহ দিনাজপুর জেলার বিরল থানার ওসি,দিনাজপুর ডিবির ওসি হিসেবেও সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।
দায়ীত্ব ও কর্তব্য পালনকালীন সময়ে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করে ভুয়সী প্রশংসা শুধু কুড়াননি,কালীগঞ্জ থানার পুলিশ বিভাগকেও আলোকিত করেন তিনি।
নিজের কৃতকর্মের জন্য পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সাধারণ আমজনতার কাছেও একজন ন্যায়পরায়ণ দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসার হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি পান তিনি।
এমনকি বিদায়ের পূর্বে সহ পাটিদের সংবর্ধনা প্রদান করা।
সহ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ও ওমিক্রন এর বিস্তার প্রতিরোধের জন্য থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন, বিভিন্ন কাজরে শুনাম কুরাচ্ছেন তিনি।।
সাধারণ আমজনতার বন্ধু, আবার অপরাধী প্রকৃতির সন্ত্রাসী,মাদক -ইয়াবা ব্যবসায়ী-কালোবাজারীদের আতংকিত নামও এটি এম গোলাম রসুল।
তিনি কালীগঞ্জ থানায় দু মাসের মধ্যে
লালমনিরহাট জেলার সেরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন কালীগঞ্জ থানার এ টি এম গোলাম রসুল।
২১ জানুয়ারি তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী দমনসহ নানান উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনার কারণে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা গোলাম রসুলকে জেলার সেরা ওসি নির্বাচিত করেছেন। শুধু কী তাই তিনি এর আগে দুই হাজার বিষ সালে আইজিপি পদক পায়।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার প্রতি মাসে পুলিশের প্রত্যেক স্তরের সদস্যের কাজের মূল্যায়ন করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করছেন।
কালীগঞ্জ থানা ওসি এ টি এম গোলাম রসুল লালমনিরহাট অনলাইন নিউজের এক সাক্ষাৎকারে, নিজের অর্জনে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, “ আলহামদুলিল্লাহ ,ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এ অর্জন আমার কাজের গতিকে আরো বাড়িয়ে দিবে। আগামীতে এ অর্জন আমার পথ চলার পাথেয় হয়ে থাকবে।