হাতিবান্ধা সংবাদদাতা : ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর লালমনিরহাট জেলার গণ- মানুষের নেতা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি জননেতা মোতাহার হোসেন এম পি, মাধ্যমে এই জেলার উন্নয়ের যাএা শুরু হয়।
লালমনিরহাট জেলাটি উন্নয়নে পিছিয়ে ছিল ব্রিটিশ অামলের ধারাতেই।পরবর্তীতে ২০০৮ সালে এসে আওয়ামীলীগ সরকার যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসে। এ সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে নিয়ে আসেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামোর শুভ উদ্বোধন করেন ও এলাকার মানুষকে জননেতা মোতাহার হোসেনের পাশে থাকার আহবান জানান। জনগনের চরম দূর্ভোগের নাম তিস্তার রেল জংশন। সেখানে তিস্তা নদীর উপর দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ করেন,কাকিনা মহিপুর তিস্তা নদীর উপর নির্মাণ করেন বিশালাকার সেতু।চালু করা হয়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দর, রংপুর থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত ব্রিটিশদের করে যাওয়া প্রতিটি রেল স্টেশন প্লাটফরমকে নতুন ভবনসহ করা হয়েছে। আধুনিক,বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত রেল লাইনকে করা হয়েছে সংস্কার,সংযুক্ত করা হয়েছে দুটি নতুন ট্রেন।
প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজ জেলা লালমনিরহাটে করা হয়েছে পিটিআই সেন্টার এবং করা হয়েছে ডায়াবেটিকস ইনিস্টিটিউট।প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে করা হয়েছে বহুকক্ষ বিশিষ্ট।বুড়িমারী থেকে বড়বাড়ি পর্যন্ত মহাসড়ককে করা হয়েছে সংস্কার।
প্রতিটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ।পাকা করণ করা হয়েছে গ্রামের প্রতিটি কাঁচা রাস্তা।হাতীবান্ধায় চালু করা হয়েছিল ন্যাশনাল সার্ভিস।আলিমুদ্দিন কলেজ ও পাটগ্রাম সরকারী কলেজে খোলা হয়েছে অনার্স শাখা।করা হয়েছে ৪তলা বিশিষ্ট আধুনিক হাতীবান্ধা থানা ভবন, বড়খাতায় করা হয়েছে নতুন ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ি এবং হাতীবান্ধা উপজেলা স্থাপন করা হয়েছে ফায়ার স্টেশন।হাতীবান্ধায় করা হয়েছে ২০০শয্যা বিশিষ্ট সরকারী আধুনিক মেডিকেল ভবন।
পাটগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং মিনি বাস টার্মিনাল নির্মাণ, পাটগ্রাম ধড়লা নদীর উপর সেতু নির্মান, হাতীবান্ধা সানিয়াজান নদীর উপর রাবার ড্রাম নির্মাণ।প্রভূতি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ২০০৮-২০১৭ ইং সময়ে রংপুরে করেছেন আওয়ামীলীগ সরকার।এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তিসহ অনেক অনেক উন্নয়ন রংপুরে বিভাগে করেছেন আওয়ামীলীগ সরকার এবং সেখানে সরকারের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন জননেতা মোতাহার হোসেন এমপি মহোদয়,সাবেক সফল প্রতিমন্ত্রী।
যিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট রংপুরের অনুন্নতের চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিল এবং উক্ত উন্নয়ন সমূহের প্রয়োজনীতা তুলে বৃহত্তম রংপুরের পিছিয়ে পরা মানুষগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জোর দাবী তুলেছিলেন।যার ফলস্রুতিতে আজকের দৃশ্যমান রংপুর।এছাড়াও লালমনিরহাট -১ আসনে উন্নয়নের সর্বদিক সম্পূর্ণ করেছেন জননেতা মোতাহার হোসেন এমপি,চলতি বছর ২০১৮ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এম,পি সর্বশেষ অধিবেশনে হাতীবান্ধা-পাটগ্রামের যেসকল উন্নয়ন করেছেন,হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজ ও হাতীবান্ধা এস এস উচ্চ বিদ্যালয় সরকারী করণ। বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট মহাসড়ক রিপেয়ারিংকরণ ও বাইপাস রোডের কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ। হাতীবান্ধা-পাটগ্রামের বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ।
দূর্যোগ ও বন্যা কবলিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন ও তাদের মাঝে ত্রাণ,ঢেউটিন বিতরণ।
পাটগ্রামের ধরলা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ।জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সচেতনমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা গ্রহন।