রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে, ঠিক তার মধ্যেই করোনা প্রতিরোধে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলার সন্মানিত পুলিশ সুপার জনাব আবিদা সুলতানা, বিপিএম, পিপিএম। তারেই নির্দেশ এ
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ও তার থানার পুলিশ টিম। শনিবার (১ মে)রাত ১২ টায় ত্রান নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুঠে চলছেন। করোনার প্রভাবে কাজে বের হতে না পারা কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি ত্রাণ নিয়ে হাজির হন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ বাহিনী ।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১০কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল, পাঁচ কেজি আলু ও এক লিটার তৈল । এসব খাদ্যসামগ্রী কালীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশ নিজের হাতে বিতারণ করবে। দরজায় ডাক দিয়েই হাতে ধরিয়ে দেন ত্রাণের ব্যাগ। যাদের ঘরে খাবার নেই, কিন্তু কাউকে আবার বলতে পারছেন না। এমন কর্মহীন মানুষগুলো রাতের আঁধারে ত্রাণ পেয়ে বেশ আনন্দিত।
ত্রাণ বিতারন কালে উপস্থিত ছিলেন এসআই মোঃ মাহাবুব রহমান, এএসআই মোঃ খতিবর রহমান,এএসআই মোঃ তাজরুল ইসলাম।
উপজেলার কাশীরাম এলাকার গৃহিণী বেগম জানান, স্বামীর মারা গেছে দশ বছর হয়েছে। এখন কোনো কাজও নেই। তার উপর আবার ভাইরাস খুব কষ্টে আছি। এ অবস্থায় ঘরে খাবার নেই। কিন্তু সে কথা কাউকে বলতেও পারছি না। আবার মান হারানোর ভয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণও নিতে পারছি না। তিনি বলেন, সবাই ত্রাণ দিয়ে ছবি তুলতে চায়। এবার প্রথম ত্রাণ পেলাম। এভাবে খবর নিয়ে যদি সবাই রাতে ত্রাণ দিত তবে দেখা যেত আমার মতো অনেক নিম্নমধ্যবিত্ত অসহায় মানুষ যে কত কষ্টে আছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত অসংখ্য পরিবার এখন অনেক কষ্টে আছেন। বিশেষ করে চা বিক্রেতা বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা কারও কাছে বলতে পারছেন না। আবার প্রকাশ্যে গিয়ে ত্রাণও নিতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, তাদের কষ্টের কথা চিন্তা থেকেই দিনে এলাকাভিত্তিক তালিকা তৈরি করি। আর রাতে তাদের বাড়িতে নীরবে ত্রাণ পৌঁছে দেই। দরিদ্ররা বিভিন্নভাবেই ত্রাণ পাচ্ছেন। কিন্তু এখন তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওসি আরও বলেন, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের হবেন না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে সরকারী নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানান।